আরও দু'সপ্তাহ লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে। গাইডলাইন জারি করে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। অর্থনীতি সচল রাখতে নির্দিষ্ট নিয়মবিধি মেনে তিন জোনেই বেসরকারি কোম্পানিগুলিকে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এতে সমস্যার সমাধান হবে না বলেই মত অধিকাংশ শিল্প সংস্থার। তাদের মতে, ৩৩ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরুর কথা বলা হলেও এক্ষেত্রে মূল বাধা পরিবহণ ও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। কেন্দ্র কাজ শুরুর কথা বললেও তাই রেড জোনের বেশিরভাগ সংস্থাই আপাতত স্থিতাবস্থা বজায়ের পক্ষে। ফলে পরিষেবা ক্ষেত্রে আর্থিক সচলতা আদৌ বাড়বে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল।
Advertisment
রেড জোনের সংস্থাগুলোর মতে, কেন্দ্র যে ছাড় পরিষেবা ক্ষেত্রে দিয়েছে তা বাস্তবায়ণ কার্যত অসম্ভব। বর্তমানে যে পরিনাম কাজ হচ্ছে তার থেকে বৃদ্ধি বাস্তবে সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছেন শিল্প সংস্থার এক শীর্ষ আধিকারিক। অগ্রগণ্য ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ফার্মের সিইও-য়ের কথায়, 'বিষয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভাইরাস একজনের মধ্যে সংক্রমিত হলে অন্যদের শরীরে ছড়াতে বেশি সময় লাগবে না। ফলে যে ধারায় কাজ চলছে তাই বজায় রাখা হবে।'
ফিকির প্রেসিডেন্ট সঙ্গীতা রেড্ডি পরিস্কার বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় লকডাউনে ছাড়ের ফলে গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ বাড়বে, তবে রেড জোনে আপাতত তা ব্যহত হবে।' মুম্বইয়ের লোয়ার পারেলে ওষুধ শিল্প সংস্থার এক আধিকারিকের কথায়, 'ব্যবসায় ছাড়ের সঙ্গেই পরিবহণ ক্ষেত্রেও ছাড় দিতে হবে। না হলে শ্রমিকরা এসে কাজ করবে এটা ভাবাই ভুল। ৪০ দিন ধরে অনলাইনেই আমাদের কাজ হচ্ছে। আর কটা দিন বাদেই না হয় পুরো কাজ করা যাবে।' কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুসারে সংস্থাগুলিকেই নিয়ম মেনে কর্মীদের থাকা খাওয়ার আয়োজন করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোন কর্মীকে কাজে লাগানো হবে তা নিয়েও সামঞ্জস্যতার অভাব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ই-কমার্স কোম্পানিগুলিকে গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে অত্য়াবশ্যকীয় নয়, এমন পণ্য সরবরাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বেশিরবাগ ক্ষেত্রেই এদের পরিষেবা শহরাঞ্চল বা মেট্রো সিটিগুলিতে হয়ে থাকে। যা রেড জোনের অন্তর্গত। ফলে ই-কমার্সে ছাড় হলেও কতটা ব্যবসা হবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। অ্যামাজন ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানাচ্ছেন, 'নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই রেড জোনে গ্রাহকদের কাছে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছতে ছাড় দেওয়া হোক।'