উৎসবের মরসুম বিশেষত দীপাবলি-ছট উপলক্ষে বাজারে ক্রেতা চাহিদার বৃদ্ধি, অনলাইনে খুচরো পণ্যের চাহিদা এবং কেনার উৎসাহই বলে দিচ্ছে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ফের জেগে উঠেছে। লকডাউনে স্তিমিত হয়ে যাওয়া বাজার ফের চেষ্টা করছে ঘুরে দাঁড়ানোর। বিক্রিবাট্টা বৃদ্ধিতে এমনই ইঙ্গিত দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।
অক্টোবর থেকে সমীক্ষা করা সংস্থা রেডসিয়ারের অনুমান অনুসারে, অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট-ফ্লিপকার্টের খুচরো ব্যবসা এক বছর আগে যা ছিল তাঁর চেয়ে প্রায় ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি ব্লুমবার্গ যে তথ্য প্রকাশ করেছে সেখান দেখা গিয়েছে নতুন গাড়ি কেনার চাহিদাও বেড়েছে ভারতের বাজারে। পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করার চাহিদা।
আরও পড়ুন, ‘অর্থপ্রাপ্তিতে’ নয়া নিয়ম আনল কেন্দ্র, সমস্যায় একাধিক অসরকারি সংস্থা
লকডাউনের জেরে কর্মসংস্থানে ক্ষত, অর্থনৈতিক লোকসানের ফলে এপ্রিল-জুন মাসে ২৪ শতাংশ সংকোচন হয়েছিল, যা কি না সবচেয়ে খারাপ বার্ষিক সংকোচনের ইঙ্গিতবাহী। মুম্বাইয়ের এইচএসবিসি হোল্ডিংস পিএলসি-র প্রধান তথা অর্থনীতিবিদ প্রাণজুল ভাণ্ডারি বৃহস্পতিবার বলেন, "অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুস্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। মাসিক বিক্রয় করের আয় ১ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে। উৎপাদন সূচকগুলিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। লগ্নির ফলে বেশ কিছু শিল্প ফের ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হচ্ছে।"
বৃহস্পতিবার মূলধনী এবং শিল্প খাতে ব্যয়ের জন্য অতিরিক্ত ১০,২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে এমনটাই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এছাড়াও, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ আর্থিক প্যাকেজের (রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার পদক্ষেপ নিয়ে) ঘোষণা করা হয়েছে, তা জিডিপির ১৫ শতাংশ। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। গত কয়েকদিনের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাবে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এটা শুধু বেশি চাহিদার লক্ষণ নয়, এটা অর্থনীতি চাঙ্গা হাওয়ার প্রমাণ, এমনটাও জানান অর্থমন্ত্রী।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন