জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ৬.৩% কমল। বুধবার জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস থেকে প্রকাশিত নথিতে এমনটাই জানা গিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে দেশের উৎপাদন এই তিন মাসে কমেছে। পাশাপাশি, খনিতে উত্তোলনও কমেছে। তার ফলেই কমেছে জিডিপি বৃদ্ধির হার। ২০২১-২২ সালের একই ত্রৈমাসিকে জিডিপি ৮.৪ শতাংশ বেড়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে জিডিপি ১৩.৫ শতাংশ বেড়েছিল।
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) চলতি মাসের গোড়ার দিকে তার রিপোর্টে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপির হার ৬.১-৬.৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে অনুমান করেছিল। তবে, জিডিপির হার কমে যাওয়ার পরও ভারত উল্লেখযোগ্যভাবে বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। কারণ, দ্বিতীয় স্থানে থাকা চিনে ২০২২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ৩.৯ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি ঘটেছে। নথি অনুযায়ী, ধারাবাহিক ক্ষেত্রে প্রাথমিক মূল্যে গ্রস অ্যাডেড ভ্যালু বা জিভিএ ৫.৬ শতাংশ বেড়েছে।
আর, চলতি ক্ষেত্রে প্রাথমিক মূল্যে প্রাথমিক মূল্যে গ্রস অ্যাডেড ভ্যালু বা জিভিএ বেড়েছে ১৬.২ শতাংশ। জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের এনএসওর তথ্য অনুযায়ী সম্প্রচার সম্পর্কিত ব্যবসা, হোটেল, পরিবহণ, যোগাযোগ ও পরিষেবাগুলোর গ্রস অ্যাডেড ভ্যালু বা জিভিএ ১৪.৭ শতাংশ বেড়েছে। আর আর্থিক, রিয়েল এস্টেট এবং পেশাদারি পরিষেবাগুলোর জিভিএ ৭.২ শতাংশ বেড়েছে। নির্মাণ বিভাগে জিভিএ বেড়েছে ৬.৬ শতাংশ। জনপ্রশাসন, প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলোর বেড়েছে ৬.৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন- বিক্ষোভে ফুটছে চিন, মনে করাচ্ছে তিয়ানানমেন স্কোয়ারকে, কী ঘটেছিল তার আগে?
বিদ্যুৎ, গ্যাস, জল সরবরাহ এবং অন্যান্য উপযোগিতামূলক পরিষেবাগুলো বেড়েছে ৫.৬ শতাংশ। কৃষি, বনজ এবং মাছ ধরার ক্ষেত্রে জিভিএ ৪.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন খাতে জিভিএ ত্রৈমাসিকে ৪.৩ শতাংশ কমেছে। যা আগের বছর এই সময়ে ৫.৬ শতাংশ বেড়েছিল। খনির জিভিএও আগের বছর এই সময় ১৪.৫ শতাংশ বেড়েছিল। এবার ২.৮ শতাংশ কমেছে। নির্মাণ খাতে জিভিএ বৃদ্ধিও ৮.১ শতাংশ কমে ৬.৬ শতাংশ হয়েছে। জিডিপির এই পরিসংখ্যান দেখে প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন জানিয়েছেন যে ভারতীয় অর্থনীতিতে চলতি অর্থবছরে বড়জোর ৬.৮-৭ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি হতে পারে।
Read full story in English