"বিনিয়োগের জন্য ভারত ছাড়া অন্য কোনও জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে না", ওয়াশিংটনে ইন্টারন্যাশনাল মনেটারি ফান্ড ওরফে আইএমএফের সদর দফতরে এমন বক্তব্যই রাখলেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক অবস্থানের প্রশংসা করে ভারতকে "পুঁজিপতিদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দেশ" বলেও উল্লেখ করলেন তিনি। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, "দেশের উন্নতির জন্য সরকার ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে এখনও। সুতরাং আপনাদের জন্য এর থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না, যেখানে গণতন্ত্র এবং পুঁজিবাদী পরিবেশকে সম্মান করা হচ্ছে। আদালতের প্রক্রিয়ায় সামান্য দেরি হলেও ভারত অনেক স্বচ্ছ এবং উন্মুক্ত সমাজব্যবস্থায় তৈরি।"
আরও পড়ুন, অর্থনীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে শুধু বিরোধীদের দুষছে সরকার: মনমোহন
ওয়াশিংটনে ইন্টারন্যাশনাল মনেটারি ফান্ডের প্রশ্নোত্তর পর্বে আন্তর্জাতিক বীমা সংস্থাগুলির বীমা ক্ষেত্রে এফডিআই এর নিয়ম সরিয়ে নেওয়া সম্পর্কে নির্মলা সীতারমণকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এক্ষেত্রে সরকার আগে খতিয়ে দেখবে যে এফডিআইয়ের নিয়ম বদলানো ছাড়া বীমা ক্ষেত্রে সরকারের আর কী কী চাহিদা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী অবশ্য জানান যে, এই মুহুর্তে তিনি তাদের আশ্বাস দিতে পারবেন না। তবে ভবিষ্যতে এই বিষয়টি নিয়ে তিনি চিন্তাভাবনা করবেন।
আরও পড়ুন, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে আরও অবনতি ভারতের, এগিয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল
অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অফ কর্মাস ফেডারেশনের একটি অনুষ্ঠানে ভারতের অর্থনীতি প্রসঙ্গে নির্মলা সীতারমণ বলেন, "আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রটি উন্নতির দিকে ক্রমবর্ধমান। গণতন্ত্র এবং আইনের বাইরেও ভারতের জনশক্তি, এবং ভারত সরকার ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে এই ক্ষেত্রটিকে আরও উন্নত করে তুলতে।"
তবে দেশের অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার চেষ্টা করছে দুর্বল ক্ষেত্রগুলির সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার। অর্থমন্ত্রী এও বলেন, "জনগণের হাতে অর্থবৃদ্ধি করানোর চেষ্টা করা হবে যাতে গ্রাহকের পরিমাণ বৃদ্ধি হয় এবং পরিকাঠামোগত উন্নতিও হয়। সেই কারণে ইতিমধ্যেই আমি ব্যাঙ্কিং সেক্টরের কাছে আবেদন করেছি যাতে তারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের কাছে তাদের লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে সবরকম সাহায্য করতে পারে। যতক্ষণ না পর্যন্ত অর্থনীতি উচ্চতর জায়গায় উঠছে, ততক্ষণ এই কাজ চালিয়ে যেতে হবে।"
আরও পড়ুন, ‘কাঠগড়ায়’ ১৩টি টিয়া! অভিনব মামলার সাক্ষী দিল্লির আদালত
অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে আরও বিনিয়োগ করতে সরকারের তরফে বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে এবং উপত্যকায় আরও বিনিয়োগ টানতে শীঘ্রই বিশদ পরিকল্পনা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সম্মেলনটিতে অর্থমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন ক্ষেত্র, যেমন পর্যটন, হস্তশিল্প, কাঠের কাজ, কার্পেট, সিল্ক, জাফরান এবং আপেলের উৎপাদনে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথাও বিশ্বের মঞ্চে উল্লেখ করেছেন তিনি।
Read the full story in English