দীর্ঘদিন ধরেই মন্দা চলছে জেট এয়ারওয়েজে। মাথার উপর আট হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা। যে কারণে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের (আইওসি) বকেয়া টাকা দিতে পারছে না এই বিমান সংস্থা। এই প্রেক্ষিতেই বিমান সংস্থাকে জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে আইওসি। দিন দিন অবনতি হচ্ছে অবস্থার। পিটিআই সূত্রে খবর, ঋণের দায়ে জর্জরিত জেট সংস্থা এবার স্টেট ব্যাঙ্কের কাছে ১৫০০ টাকা অনুদান চাইল।
বিমানচালকদের সংগঠন ন্যাশনাল অ্যাভিয়েটরস গিল্ড সংস্থার ২০০০০ কর্মীর চাকরি বাঁচানোর আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছে প্রধানমন্ত্রীকে।
সংস্থার আর্থিক সংকট চূড়ান্ত। এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত বন্ধ করা হল ১৩টি আন্তর্জাতিক রুটের বিমান পরিষেবা। সব মিলিয়ে ৫৪টি বিমানের পরিষেবা বাতিল করার কথা মাস খানেক আগেই ঘোষণা করেছে সংস্থা । সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে মুম্বই ও দিল্লি থেকে সাতটি আন্তর্জাতিক রুটের বিমান সংখ্যাও।
আরও পড়ুন, পথে ঘাটে হেনস্থা? হাত বাড়িয়ে দিল এয়ারটেল
দশ বছর ধরে টানা ক্ষতির মুখ দেখতে দেখতে বাঙ্কের ধার শোধ করতে দেরি করেছে জেট, কর্মীদের কখনো দেরিতে বেতন দিতে পেরেছে, কখনও বা পারেনি। সম্প্রতি আসন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েল। বর্তমানে জেট বিমানসংস্থা ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন এক কনসর্টিয়ামের আওতায় রয়েছে।
বিমানচালক, ইঞ্জিনিয়র এবং জেটের পরিচালন ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা টানা তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। অন্যান্য কর্মীরাও মার্চের বেতন পাননি। সংগঠনের তরফে দেওয়া সময়সীমা ১৪ এপ্রিলের মধ্যেও বকেয়া বেতন মেটাতে পারেনি সংস্থা। তারপর থেকেই বিমানচালকরা ঘোষণা করেছেন বেতন না পেলে কাজ করবেন না। তবে এসবিআই-এর সঙ্গে আপতকালীন বৈঠকের কারণে বাতিল করা হয়েছে ধর্মঘট।
Read the full story in English