তিনি আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপন করেন না। এমন দাবিই করলেন ঋণে জর্জরিত অনিল আম্বানি। ঋণে জর্জরিত আম্বানির সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চিনা ব্য়াঙ্কের এক আইনজীবী। সেই প্রেক্ষিতে এক বিচারকের মন্তব্য় নাকচ করে আম্বানি জানান যে, তিনি ম্য়ারাথন রানার ছিলেন এবং তিনি মদ্য়পান, ধূমপান, জুয়া খেলেননি। এক বিবৃতিতে আম্বানির মুখপাত্র জানান, প্রাক্তন বিলিওনিয়ার বরাবরই একজন সাধারণ মানুষ।
আম্বানি আগেই জানিয়েছিলেন যে তাঁর নেট মূল্য় 'জিরো'। অথচ তাঁর পারিবারিক ঋণের অঙ্ক ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। আম্বানির খরচ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হ্য়ারোড-সহ বিভিন্ন বিলাসবহুল দোকানে তাঁর ক্রেডিট কার্ডের খরচ নিয়ে খতিয়ে দেখা হয়। তাঁর মা কোকিলাবেন আম্বানির দেওয়া ৬৬ মিলিয়ন ডলারের ঋণ ও তাঁর ছেলের দেওয়া ৪১ মিলিয়ন ডলারের ঋণ নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রত্য়ুত্তরে আম্বানি জানান, এগুলো উপহার ছিল না কিন্তু কীজন্য় ঋণ নিয়েছিলেন, তা মনে নেই তাঁর।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরুদ্ধে ২২ হাজার কোটির কর মামলা জিতল ভোডাফোন
লন্ডনের আদালতে আম্বানির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেছে ৩টি চিনা ব্য়াঙ্ক। ব্য়াঙ্কগুলির দাবি, ২০১২ সালে আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডে টাকা দিয়েছিল তারা। আম্বানি নিজেকে ব্য়ক্তিগত গ্য়ারান্টার হিসেবে দেখিয়েছিলেন। তবে এখনও সেই টাকা শোধ করা হয়নি ব্য়াঙ্কগুলিকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে নিজের দুই সংস্থার জন্য় ৫৬৫ কোটি ও ৬৩৫ কোটির ঋণ এসবিআই-এর থেকে চেয়েছিলেন আম্বানি। প্রায় ১২০০ কোটি টাকার ঋণের ব্য়ক্তিগত গ্য়ারান্টার হিসেবে নিজেকে দেখান অনিল। এদিকে, ঋণ শোধ করতে না পারায় অনিলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে এসবিআই। পাওনা টাকা আদায়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় এসবিআই।
এর আগে, প্রতিশ্রুতি দিয়েও এরিকসন সংস্থাকে বকেয়া টাকা না মেটানোর অভিযোগ ওঠে অনিল অম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল এরিকসন ইন্ডিয়া।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন