লকডাউনে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা বাড়ছে দেশের ব্যাঙ্কগুলোর। করোনা অতিমারীর প্রকোপে বাড়ছে অর্থনৈতিক মন্দাও। এই অবস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এনপিএ অথবা অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা কমাতে সে সবের জন্য তৈরি হতে পারে আলাদা ব্যাঙ্ক।
ক্রাইসিলের হিসেব বলছে লকডাউনের জেরে ব্যাঙ্কগুলোতে অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ ১৫০ থেকে ২০০ বেসিস পয়েন্ট বাড়বে। এনপিএ-র বোঝা কমাতে নতুন করে তৈরি করা হতে পারে ব্যাড ব্যাঙ্ক। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আরবিআই। এখনও পর্যন্ত যা কথা হয়েছে, ধরে নেওয়া হচ্ছে ত্রীস্তরীয় ব্যবস্থার ব্যাঙ্ক হতে চলেছে এটি। ৫০০ কোটির ওপর অনুৎপাদক সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে ওখানে।
আরও পড়ুন, ঋণের ওপর সুদের হার ১৫ বেসিস পয়েন্ট কমাল এসবিআই
ভারতের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক উনুৎপাদক ঋণের দায়ে জর্জরিত, এরকম এক খবর দেশবাসীর মনে আশঙ্কার জন্ম দিয়েছিল মাস খানেক আগে। রাতারাতি আগের অবস্থায় ফেরা অসম্ভব হলেও এসবিআই-এর অনাদায়ী ঋণের বোঝা ধীর গতিতে হলেও ক্রমশ কমছে।
“আপনারা যদি মনে করেন, সব আগের অবস্থায় ফিরে যাবে, এত তাড়াতাড়ি তা হবে না”, বললেন ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার। তবে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আগের থেকে সতর্ক হয়েছে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক, জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। যাচাই পদ্ধতি আরও কড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাধারণত, ব্যাঙ্ক নিজেদের লাভ দেখাতে বাজে ঋণের ভারে নুইয়ে থাকলেও অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ লুকিয়ে রাখতে চায়। আরবিআই এবং সেবি ব্যাঙ্কগুলির এনপিএ-র পরিমাণ ঘোষণা করা নিয়ে নিয়মাবলী কড়া করলেও ব্যাঙ্ক অধিকাংশ সময়েই এনপিএ-র পরিমাণ কমিয়ে বলে। প্রসঙ্গত, আরবিআই এর ঝুঁকি মাপক রিপোর্ট পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাঙ্ককে এনপিএ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ঘোষণা করতে হবে, গত নভেম্বরে এমন নির্দেশ দিয়েছিল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি।