Advertisment

কোনও ব্যাঙ্ক বন্ধ হবে না, কারও চাকরি যাবে না, ঘোষণা সীতারমণের

"কোনও ব্যাঙ্ক বন্ধ হচ্ছে না। কোনও ব্যাঙ্ককে বলা হচ্ছে তারা যা করছিল, তার বাইরে আর কিছু করতে। বরং উল্টো আমরা তাদের আরও মূলধন দিচ্ছি তারা যা করছিল তাই করার জন্য।" 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
nirmala sitharaman psu bank merger

নির্মলা সীতারমণ। ছবি: নীরজ প্রিয়দর্শী, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

বিভিন্ন সরকারি ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের ফলে বন্ধ হয়ে যাবে ছটি প্রতিষ্ঠান, এই নিয়ে রবিবার কর্মীদের আশঙ্কা নিরসন করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী, কোনও ব্যাঙ্ককেই বলা হয় নি তাদের বর্তমান রুটিনের বা কাজকর্মের বাইরে যেতে বলা হয় নি, এবং কোনও ব্যাঙ্কই বন্ধ হবে না। চাকরিও যাবে না কোনও কর্মীর।

Advertisment

এক সাংবাদিক সম্মেলনে সীতারমণ বলেন, "কোনও ব্যাঙ্ক বন্ধ হচ্ছে না। কোনও ব্যাঙ্ককে বলা হচ্ছে তারা যা করছিল, তার বাইরে আর কিছু করতে। বরং উল্টো আমরা তাদের আরও মূলধন দিচ্ছি তারা যা করছিল তাই করার জন্য।"

শনিবার চেন্নাইতে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ১০ টি ব্যাঙ্ককে সংযুক্ত করে চারটি প্রতিষ্ঠান করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। একই ধরনের প্রতিবাদ সভা হয় ভোপাল, কলকাতা, এবং দেশের আরও কিছু শহরে। সংজুক্তিকরণের ঘোষণার পরেই জানা যায়, নতুন চারটি ব্যাঙ্ককে ৫৫ হাজার ২৫০ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হবে যাতে তারা ঋণের খাতা বৃদ্ধি করতে পারে।

আরও পড়ুন: মোদী সরকারের বড় সিদ্ধান্ত, একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ

দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা, বিশেষত বছরের প্রথম চতুর্থাংশে জিডিপি-র স্রেফ ৫ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সীতারমণ বলেন, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ এবং অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি জানার চেষ্টা করছেন, সরকারের কাছ থেকে কার কী প্রত্যাশা।

তাঁর কথায়, "সরকার বহু ক্ষেত্রের মানুষদের সঙ্গে পরামর্শ করছে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে স্টক। আমি ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পরামর্শ নিচ্ছি, সরকারের কাছ থেকে তাঁদের প্রত্যাশা সংক্রান্ত। এর মধ্যে দুবার বৈঠক করেছি, আরও অনেকবার করব।"

আরও পড়ুন: কেন ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র?

ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস দ্বারা প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, আটটির মধ্যে পাঁচটি ক্ষেত্রে হ্রাস পেয়েছে বৃদ্ধির হার, যার ফলে সামগ্রিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এই নিয়ে লাগাতার পাঁচবার কমল মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা গ্রোস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) বৃদ্ধির হার। এর আগে সর্বনিম্ন বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৩ শতাংশ, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে।

অন্যদিকে, রবিবারই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা মোদী সরকারের "সামগ্রিক অব্যবস্থার" নিদর্শন। তবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি উত্তর দিতে অস্বীকার করেন সীতারমণ। "ডাঃ মনমোহন সিং কি বলছেন যে 'রাজনৈতিক চাপানউতোরের পরিবর্তে ওদের উচিত পাকা মাথাদের কথা শোনা'? তাই বলেছেন কি উনি? ঠিক আছে, ধন্যবাদ। আমি এ বিষয়ে তাঁর বয়ান নেব। এই আমার উত্তর," বলেন তিনি।

Advertisment