Advertisment

তেল কিনলে ডলার ফ্রি! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নজিরবিহীন ঘটনা

সোমবার ভারতীয় সময়ের প্রায় মধ্য রাতে মার্কিন অপরিশোধিত তেলের দাম শূন্য ডলারেরও নীচে চলে গেল। বাজার বন্ধের সময়ে ব্যারেল প্রতি দাম দাঁড়িয়ে -৩৭.৬৩ ডলার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নজিরবিহীন ঘটনা, শূন্যের নীচে নেমে গেল তেলের দাম। আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। শুন্যের নীচে নেমে গেল মার্কিন অপরিশোধিত তেলের দাম। তবে সোমবার বাজার বন্ধের সময় যে জায়গায় দাম নেমেছিল, মঙ্গলবার সেই দাম অবশ্য সামান্য কিছুটা উঠেছে। সোমবার বাজার যখন বন্ধ হয়েছে, তখন মে মাসের তেলের জন্য ব্যারেল প্রতি দাম দাঁড়িয়ে -৩৭.৬৩ ডলারে। মঙ্গলবার সেই দাম কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে হয়েছে ১.১০ ডলার।

Advertisment

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই চলছে লকডাউন। গণপরিবহন পরিষেবা কার্যত বন্ধ। রাস্তায় ব্যক্তিগত যান চলাচলও নামমাত্র। বন্ধ কলকারখানাও। এর ফলে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমছিলই।স্বভাবতই অপরিশোধিত তেলের চাহিদাও কমছিল। সোমবার ভারতীয় সময়ের প্রায় মধ্য রাতে মার্কিন অপরিশোধিত তেলের মে মাসের জন্য ট্রেডিংয়ে দাম শূন্য ডলারেরও নীচে চলে গেল। বাজার বন্ধের সময়ে ব্যারেল প্রতি দাম দাঁড়িয়ে -৩৭.৬৩ ডলার।

আরও পড়ুন, চিনের ‘ভয়ে’ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিতে বড় বদল কেন্দ্রের

আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত এক মাস অন্তর তেলের দাম নির্ধারিত হয়। বিক্রেতারা মে মাসে অর্থাৎ এখন থেকে দু’ সপ্তাহ পরে যে তেল বিক্রি করবেন তা যদি এখনই সংরক্ষণাগারে রাখতে চান তা হলে তাদের তেল সংরক্ষণের জন্য অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে৷ সম্ভবত সে কারণেই তাঁরা তেলের দাম শূন্যের নীচে নামিয়ে দিয়ে তেল সংরক্ষণাগারের খরচ কমানোর চেষ্টা করেছেন।এ বছর গোড়ার দিকে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৬০ টাকা প্রতি ব্যারেল। সেই ৬০ ডলার থেকে দাম পড়তে পড়তে সোমবার তেলের দামই পিছলে গেল। এ দিন নিউইয়র্কে তেলের ট্রেডিংয়ের সময় নাটকীয় ভাবে দাম পড়তে দেখা যায়।

আন্তর্জাতিক সমীক্ষা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ও মিটারের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজার ২৯৮ জনের। শুধু নিউ ইয়র্কেই করোনায় আক্রান্ত ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৫০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ২৯৮ জনের।

Advertisment