আরও দাম বাড়তে চলেছে জিনিসপত্রের। চণ্ডীগড়ে জিএসটি কাউন্সিলের দু'দিনব্যাপী ৪৭তম বৈঠকে প্যাকেটজাত নয়, এমন দ্রব্যের ওপরও জিএসটি লাগু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, হোটেলের ভাড়ার ওপর প্রত্যাহার করা হয়েছে ছাড়। যার ফলে আগামী দিনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে আমজনতাকে। কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার থেকে আটা, দই, লস্যি, মাখন, পনিরকেও আনা হচ্ছে জিএসটির আওতায়।
যেসব হোটেলের দৈনিক ঘরভাড়া ১,০০০ টাকারও কম, সেখানেও বসতে চলেছে কর। একইসঙ্গে ভোজ্যতেল, কয়লা, এলইডি বাতি, প্রিন্টিংয়ের কালি, ছুরি, সোলার ওয়াটার হিটারের ওপর জিএসটি বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সঙ্গে ক্যাসিনো, অনলাইন গেমিং ও ঘোড়দৌড়ের ওপর জিএসটির হারও পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
একইসঙ্গে, জিএসটি কাউন্সিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক প্রমাণ দাখিল, বিদ্যুতের বিলের তথ্য নথিভুক্ত করা, নির্দিষ্ট প্যান নম্বরের ভিত্তিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতো বিষয়গুলোর ওপরও জোর দিচ্ছে। যাতে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ঘাটতি না-থাকে। সোনা-সহ মূল্যবান পাথরের আন্তঃরাজ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলোর ই-ওয়ে বিলও জিএসটি কাউন্সিল অনুমোদন করেছে। তবে, তা কার্যকরী করার ভার রাজ্যগুলোর হাতেই ছেড়ে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- খাঁটি দেশীয় শিল্পকর্মের অপূর্ব নিদর্শন উপহার রাষ্ট্রনেতাদের! G7 সম্মেলনে মোদীর চমক
আর, চামড়াজাত পণ্য এবং মাটির ইটের উৎপাদন পরিষেবা কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করেছে। এলইডি বাতি, কালি, ছুরি, ব্লেড, বিদ্যুৎচালিত পাম্প, চামচ, কাঁটাচামচ, দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে।
আর, এর ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে চলেছে মধ্য এবং নিম্নবিত্ত। কারণ, করোনা এবং পরবর্তী ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জেরে বিশ্ববাজারে অর্থনীতি টালমাটাল। আর্থিক সমস্যায় ভুগছে প্রতিবেশী দেশগুলো। ভারতও সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। যার জেরে অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছে মধ্য এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ। কারণ, রোজগারপাতির অভাব। তার মধ্যে এভাবে দাম বৃদ্ধিতে তাই
আমজনতা রীতিমতো দুশ্চিন্তায়।
Read full story in English