Monetary Policy Review: দেশ জুড়ে তেলের ক্রমবৃদ্ধিমান দাম, এবং মার্কিন ডলার পিছু পড়তে থাকা ভারতীয় টাকার দাম এই দুইয়ে মিলে রীতিমতো শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে দেশের অর্থনীতি। দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, টাকার দাম কমার ফলস্বরূপ আরবিআই বাড়াতে পারে ঋণের ওপর সুদের হার। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে প্রকাশিত হবে আর্থিক নীতির বিবৃতি। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন রেপো রেটে ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়াতে পারে আরবিআই। যে হারে দেশের বাকি ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ দেয় কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্ক, তাকে বলে রেপো রেট। বর্তমান রেপ রেট ৬.৫০%।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অপরিশোধিত তেলের দাম লিটার পিছু আড়াই টাকা কমল দেশ জুড়ে। বৃহস্পতিবার সকালেও মেট্রো শহরগুলোয় বাড়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। এর পরই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, অপরিশোধিত তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক লিটার পিছু কমিয়ে নিল কেন্দ্র। তেল পরিশোধনকারী সংস্থাগুলোও লিটার প্রতি এক টাকা করে দাম কমিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতি লিটারে আড়াই টাকা দাম কমেছে তেলের। কিন্তু আড়াই টাকা লিটার পিছু দাম কমেও সার্বিক ভাবে পেট্রোল ডিজেলের দাম চড়াই রয়েছে বাজারে।
আরও পড়ুন, জ্বালানির দাম কমপক্ষে ১০ টাকা কমানো প্রয়োজন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রেপো রেট বাড়লে কী হতে পারে
২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ালে রেপো রেট হবে ৬.৭৫ শতাংশ। রেপো রেট যত বাড়ে, বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তা মসৃণ হয়। ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক তাদের রিপোর্টে বলেছে, টাকার দামের পতন রোধ করতে ২৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানো দরকার। মর্গান স্ট্যানলির রিপোর্টেও একই কথা বলা হয়েছে। দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ইউবিআই-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও রাজকিরণ রাই পিটিআই-কে বলেছেন, "যে হারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে এবং টাকার দাম পড়ছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো দরকার"।
ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও
দেশের বাণিজ্যিক সমস্ত ব্যাঙ্কগুলোর মোট সম্পদের একটা নির্দিষ্ট অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাছে রাখতে হয়। একে বলে ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও। বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও হল ৪ শতাংশ। তবে অদূর ভবিষ্যতে তা কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।