রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর জেরে ব্যাঙ্কে সুদের হার ০.৫০% বাড়ল। এর ফলে বর্ধিত সুদের হার হল ৫.৪০%। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ব্যাঙ্কের সুদের হার বাড়িয়ে ৫.৪০% করার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করার ঘোষণা করেছেন। তবে রেপো রেট বেড়ে যাওয়ায় ব্যাঙ্ক থেকে ইএমআই নিয়ে বাড়ি-গাড়ি কেনা মধ্যবিত্তের চাপ বাড়ল। ঋণ নেওয়া টাকার উপরে তাঁদেরও এবার অতিরিক্ত ০.৫০% হারে সুদ গুণতে হবে।
করোনা অতিমারীর আগের অবস্থায় ফিরল ব্যাঙ্কের সুদের হার। আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ৫০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন। এর জেরে ব্যাঙ্কগুলিতে বেড়ে যাবে সুদের হার। ০.৫০% সুদের হার বেড়েছে ব্যাঙ্কে। আরবিআইয়ের এই সিদ্ধান্তে মধ্যবিত্তের মধ্যে মিশ্র প্রভাব পড়বে। একদিকে, ব্যাঙ্কের সুদের হার বাড়ায় উপকৃত হবেন একাংশের প্রবীণরা। অর্থাৎ যাঁরা ব্যাঙ্কে টাকা জমা রেখে তার সুদে সংসার চালান।
তবে এর জেরে অসুবিধাতেও পড়বেন অনেকে। রেপো রেট বেড়ে যাওয়ায় ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণের টাকার উপরেও সুদ বেড়ে গেল। সুদের হার ০.৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে গৃহ নির্মাণ ব্যাবসাতেও। শুধু তাই নয়, সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ছোট ব্যবসা বা গাড়ি-বাইক কেনার ক্ষেত্রে এবার কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন- গান পয়েন্টে পুলিশ! নাটকীয় থ্রিলারে দুঃসাহসিক ব্যাঙ্ক ডাকাতি
চলতি আর্থিক বছরে এটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তৃতীয়বারের সুদের হার বৃদ্ধি। এর আগে, আরবিআই রেপো রেট বাড়িয়েছিল মে এবং জুন মাসে। মে মাসে ৪০ বেসিস পয়েন্ট এবং জুন মাসে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছিল রেপো রেট। বাজার বিশেষজ্ঞরা আশা করেছিলেন এই বৈঠকে রেপো রেট কমপক্ষে ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হবে।
রেপো রেট বৃদ্ধি ঋণগ্রহীতাদের চরম সমস্যা ফেলে দেবে বলে মনে করেন BankBazaar.com-এর সিইও আদিল শেঠি। তিনি বলেন, ''মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে রেপো রেট বৃদ্ধি নতুন এবং আগের ঋণগ্রহীতাদের সমস্যা বাড়াবে। গত কয়েক মাসে ১৪০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির মানে হল এই যে ঋণগ্রহীতারা আগে প্রায় ৬.৮-৭ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করছিলেন। তাঁদেরই এখন ৮.২-৮.৪ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।''
অন্যদিকে, সিআরসিএল এলএলপি-র সিইও এবং ম্যানেজিং পার্টনার ডিআরই রেড্ডি বলেন, “আরবিআই রেপো রেটকে আরও ৫০ বিপিএস বাড়িয়ে ৫.৪০% করেছে। এই পদক্ষেপ আসলে প্রাক-কোভিড যুগে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা। এক্ষেত্রে ভারতের ফের মন্দায় পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। এই পদক্ষেপ চলতি আর্থিক বছরের শেষ নাগাদ টার্মিনাল রেট ৫.৯০ শতাংশে নিয়ে যাবে।''