Advertisment

বাজারে ঘাটতি, এটিএম থেকে আর নাও পেতে পারেন ২০০০ টাকার নোট

রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের এটিএম থেকে আর দু'হাজার টাকার নোট পাওয়া যাবে না। আরও বেশ কিছু ব্যাঙ্ক সেই পথেই হাঁটতে চলেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দেশের বাজারে দু'হাজার টাকার নোটের ঘাটতি ছিলই, এবার সম্ভবত আরও বাড়তে চলেছে তা। একের পর এক ব্যাঙ্ক তাদের এটিএম ভরছে ৫০০ টাকা অথবা তার কম মূল্যের নোট দিয়ে। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক তো তাদের এটিএম-এর ক্রমাঙ্কন (calibration) পর্যন্ত বদলে ফেলেছে, যাতে আরও বেশি করে কম মূল্যের নোট ধরানো যায়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক যদিও গোড়া থেকেই বলে আসছে যে দু'হাজার টাকার নোট বাতিল করার কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের আধিকারিকরা বলছেন, গত দু-তিন বছর ধরেই বাজারে কমে আসছে দু'হাজার টাকার নোটের পরিমাণ।

Advertisment

রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের এটিএম থেকে আর দু'হাজার টাকার নোট পাওয়া যাবে না। আরও বেশ কিছু ব্যাঙ্ক সেই পথেই হাঁটতে চলেছে। প্রসঙ্গত, ৮ নভেম্বর, ২০১৬ সালে অকস্মাৎ পুরোনো ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরিবর্তে বাজারে আসে নতুন ৫০০ এবং ২,০০০ টাকার নোট। উল্লেখ্য, ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট বাতিলের পর পরিমানের নিরিখে দেখতে গেলে বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় মোট নগদ টাকার প্রায় ৮৬ শতাংশ।

আরও পড়ুন: ২০০০ টাকার নোট বাতিলের খবর ভুয়ো: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

গত ১১ ফেব্রুয়ারি সংসদে অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে বাজার থেকে ২,০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার "কোনও প্রস্তাব বিবেচিত হচ্ছে না"। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে অন্য কথা। দেখা যাচ্ছে, ৫০০ টাকার নোটের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে ২,০০০ টাকার নোটের ব্যবহার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ আর্থিক বর্ষে বাজারে ব্যবহৃত সব নোটের মধ্যে ২,০০০ টাকার নোটের পরিমাণ ৩ শতাংশ, যেখানে ২০১৮ এবং ২০১৭ আর্থিক বর্ষে এই পরিমাণ ছিল ৩.৩ শতাংশ।

অন্যদিকে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে ৫০০ টাকার নোটের পরিমাণ প্রায় তিনগুণ বেড়ে হয়েছে ১৯.৮ শতাংশ, যেখানে ২০১৭-১৮ এবং ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষে এই পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৫.১ এবং ৫.৯ শতাংশ। টাকার মূল্য হিসেবে দেখলে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে ২,০০০ টাকার নোটের ভাগ ছিল ৩১.২ শতাংশ, ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষে ৫০.২ শতাংশ। ওই একই সময়ে ৫০০ টাকার নোটের ভাগ ২২.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৫১ শতাংশ।

এছাড়াও, ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে বাজারে ৬ কোটি ৫৮ লক্ষ ২০০ টাকা মূল্যের ২,০০০ টাকার নোট ছাড়া হয়, যা ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষে বাজারে ছাড়া ৬ কোটি ৫৭ লক্ষ ১০০ টাকার প্রায় সমান। এর বিপরীতে রয়েছে বাজারে ছাড়া ৫০০ টাকার নোটের মোট মূল্য, যা ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষের ২ কোটি ৯৪ লক্ষ ১০০ টাকা থেকে ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে এক লাফে হয় যায় ১০ কোটি ৭৫ লক্ষ ৮০০ টাকা।

Advertisment