করোনা মোকাবিলায় লকডাউনে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে বিকিকিনি। অতিমারী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি ব্য়বসা-বাণিজ্য়ে গতি বাড়াতে দেশে শুরু হয়েছে আনলক ১। খুলেছে শপিং মল, দোকান, রেস্তোরাঁ। ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে বিকিকিনি। দেশের খুচরো বিপণীগুলিতেও ধীর তালে শুরু হয়েছে কেনাকাটা।
এই সংকটকালে বিক্রি বাড়াতে ছাড় বা সেলের পন্থা নিচ্ছেন না দোকানদাররা। কারণ, সেল বা ডিসকাউন্ট দিলে যদি বেশি সংখ্য়ক ক্রেতা ভিড় করেন, তাহলে করোনা রুখতে সামাজিক দূরত্ববিধি পালন শিকেয় উঠতে পারে। শেষে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে দোকানই হয়তো বন্ধ করতে হতে পারে। তাই এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে এখন সেল বা ছাড়ের কথা ভাবছেন না ব্য়বসায়ীরা। বরং, মানুষের এই মুহূর্তে যা প্রয়োজন, তা মেটানোয় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম, কলকাতায় কত ?
রিটেলার্স অ্য়াসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সিইও কুমার রাজাগোপালন জানিয়েছেন, ''মাত্র ২৫-৩০ শতাংশ ক্রেতা আসছেন। তাঁরা জিনিস কিনতে আসছেন। এমন নয় যে, উইন্ডো শপিং করতে আসছেন''। তাঁর কথায়, ''এখন মানুষের চাহিদা সীমাবদ্ধ । মানুষের হাতে এখন বেশি টাকা নেই। এখন কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানও নেই, যে সকলে টাকা খরচ করবেন''।
অন্য়দিকে, শপিং মল খুললেও, এখনও বন্ধ রয়েছে মাল্টিপ্লেক্স। ফলে শপিং মলে যেজন্য় ভিড় বেশি হয়, সেই মাল্টিপ্লেক্স বন্ধ থাকায় ভিড় অনেকটা কম। ওয়ান্ডারশেফের ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর রবি সাক্সেনা বলেছেন, ''ব্র্য়ান্ডেড রিটেলারদের জন্য় চাপ থাকবে এখন। একদিকে লোকবল কমানো, আরেকদিকে, মল বা মালিকের সঙ্গে ভাড়া পুনর্বিন্য়াস করা। এই সংকট কাটাতে সকলকে একত্রিত হতে হবে''।
মুম্বইয়ের শোভা শ্রীঙ্গার জুয়েলার্সের ডিরেক্টর স্নেহাল চোকসি বলেছেন, '' ব্য়বসায় আগের মতো স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে। আগের মতো সেল ও ডিসকাউন্টে আকৃষ্ট হবেন না ক্রেতারা এখন। সকলকে ধৈর্য ধরতে হবে''।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন