বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে সরকারি পাঁচ সংস্থাকে। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তই নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ভারত পেট্রোলিয়াম (বিপিসিএল), কনটেনার কর্পোরেশন (কনকর), শিপিং কর্পোরেশন-এর মতো তিনটি বৃহৎ সংস্থার শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এমনকী, টিহরি জল বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম (টিএইচডিসিএল)-এর ৭৪.২৩ শতাংশ শেয়ার এবং নিপকোর ১০০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি এবং নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বুধবারের এনডিএ সরকারের বৈঠকে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বৈঠক শেষে জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় সরকারের অংশীদারি ৫১ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনা হবে। উল্লেখ্য, বাজেটে চলতি বছরে বিলগ্নিকরণ থেকে ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা তোলার লক্ষ্য নিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। ২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সেই লক্ষ্যপূরণের জন্যই পাঁচ সংস্থার শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রক, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
আরও পড়ুন: ‘হায়দরাবাদ থেকে টাকার থলি নিয়ে এসেছে’, সাবধান করলেন মমতা
ভারত পেট্রোলিয়াম (বিপিসিএল)-এর ৫৩.২৯ শতাংশ শেয়ার, শিপিং কর্পোরেশনের ৬৩.৭৫ শতাংশ, কনকরের ৩০.৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করবে সরকার। তবে রেলওয়ের ক্ষেত্রে নিজেদের গুরুত্ব বজায় রাখতে কনকরের সমস্ত সরকারি শেয়ার বেসরকারি হাতে দেওয়া হবে না। কিন্তু তুলে নেওয়া হবে সরকারি নিয়ন্ত্রণ।
এদিকে, বিপিসিএল-এর বেসরকারিকরণ হলেও, ভারত পেট্রোলিয়ামের হাতে থাকা অসমের নুমালিগড় রিফাইনারির বেসরকারিকরণ হবে না। সেটি সরকার বা অন্য কোনও তেল সংস্থা কিনে নেবে, এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। অন্যদিকে, সাময়িক স্বস্তিতে ভারতের টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থারা। বকেয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সম্প্রতি বড় সমস্যার মুখে পড়েছে ভোডাফোন-এয়ারটেলের মতো সংস্থারা।
আরও পড়ুন: ৫ শতাংশের নীচে নামতে পারে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার
প্রসঙ্গত, প্রতিটি টেলিকম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কাছ থেকে শুল্ক আদায় করে কেন্দ্রীয় সরকার। ৫ শতাংশ হারে শুল্ক আদায় করা করা হয় তাদের লভ্যাংশের উপরও। বিপুল লোকসান হওয়ায় সেই বকেয়া মেটাতে পারেনি ভোডাফোন এবং এয়ারটেল। এদিকে গত মাসে তাদের সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই ভারতে তাদের ব্যবসার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতের ইঙ্গিত দেয় টেলিকম সংস্থারা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ত্রাণের জন্যে দাবি করা ভোডাফোন আইডিয়াকে কোনও রকম ছাড় দেওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র।
Read the full story in English