/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/11/white-house-2025-10-11-19-00-43.jpg)
White House: হোয়াইট হাউসের নিষেধাজ্ঞার কবলে ৯ ভারতীয় কোম্পানি।
US Sanctions 9 Indian Companies: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল, পেট্রোকেমিক্যাল এবং এলপিজি (LPG) ট্রেডে অংশগ্রহণের অভিযোগে ৯টি ভারতীয় কোম্পানি এবং ৮ জন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই পদক্ষেপ ইরানের ওপর সর্বাধিক অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতেই নেওয়া হয়েছে। মার্কিন বিদেশ দফতর এবং অর্থ বিভাগ একযোগে প্রায় ১০০ জন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাহাজের ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে।
যাদের ওপর চাপল নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন বিদেশ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই ৯টি ভারতীয় কোম্পানি ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল আমদানি করেছে, যার মূল্য কয়েকশো মিলিয়ন ডলার। মুম্বইয়ের কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে CJ Shah & Co, Chemovick, Mody Chem, Paarichem Resources, Indisol Marketing, Haresh Petrochem এবং Shiv Texchem। দিল্লির BK Sales Corporation-ও এই তালিকায় রয়েছে।
আরও পড়ুন- কীভাবে চেক করবেন, জিএমপি ৪০০ টাকা ছাড়িয়ে ৩৭% লিস্টিং লাভের ইঙ্গিত!
নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে যে ভারতীয়দের ওপর, তাঁরা হলেন- Chemovick-এর পরিচালক পীযূশ মাগনলাল জাভিয়া, Indisol Marketing-এর পরিচালক নীতি উন্মেশ ভট্ট, Haresh Petrochem-এর পরিচালক কমলা কাসাট, কুনাল কাসাট, পুনম কাসাট। এছাড়া ভারুণ পুলা, ইয়াপ্পান রাজা, সোনিয়া শ্রেষ্ঠা নামের তিন ভারতীয় নাগরিককেও OFAC-এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে আমেরিকা। এদের বিরুদ্ধে জাহাজে করে ইরানের মাল নিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন- শেষ দিনে সম্পূর্ণ সাবস্ক্রাইব, বাজারে এই সংস্থার সাফল্য দিচ্ছে চমক!
মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সমস্ত সম্পত্তি বা US-এর অধীনে থাকা সম্পদ ব্লক করা হবে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান এই ব্যক্তিদের আংশিক বা পুরোপুরি মালিকানাধীন, সেগুলোকেও নিষিদ্ধ করা হবে। মার্কিন ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট বলেছেন, 'এই পদক্ষেপ ইরানের অর্থপ্রবাহকে হ্রাস করতে এবং টেরোরিস্ট গ্রুপের তহবিল সরবরাহের ক্ষমতা ছাঁটতে নেওয়া হচ্ছে।'
আরও পড়ুন- আইপিও মূল্যের চেয়ে ৩৫% কমে নথিভুক্ত শেয়ার, বিরাট ক্ষতি বিনিয়োগকারীদের।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ ভারতের ব্যবসা ও অর্থনৈতিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ ভারতের অনেক ছোট ও মাঝারি কোম্পানি আন্তর্জাতিক পেট্রোকেমিক্যাল ও এলপিজি ট্রেডে যুক্ত ছিল। এই নিষেধাজ্ঞা তাদের বিদেশি ব্যাংকে লেনদেন, পেমেন্ট ও আমদানি-রফতানিতে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন- গ্রে মার্কেটে জিএমপি বাড়ল ১১%, সাবস্ক্রিপশন ৪৫ গুণ, শেয়ার অ্যালটমেন্ট কবে?
তবে উল্লেখযোগ্য যে, বড় ভারতীয় কোম্পানিগুলো ইরানের এনার্জি ট্রেড থেকে নিজেকে দূরে রেখেছে। অধিকাংশ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া প্রতিষ্ঠান ছোট বা মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ধরনের সংস্থা ইরানের তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল ট্রেডে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও আইনগত নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে।