১ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় পেশ হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাব। ঠিক তার আগের দিন, প্রকাশিত হয়েছে আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট। পরপর দু'দিন আগামী অর্থবর্ষের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাসের দু'রকমের বৃদ্ধির হার দেখে কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত জনসাধারণ। আসুন দেখে নেওয়া যাক এর পেছনে আসল ব্যাখ্যা কী?
কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার ঠিক একদিন আগেই শুক্রবার সংসদে পেশ করা হয়েছে ২০২০ এর আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট। আগামী অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৬.৫ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা, জানালেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ডঃ কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামনিয়াম। কেন্দ্রীয় আর্থিক সমীক্ষা বলছে চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছুঁয়েছে ৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন, বাজেট প্রাক্কালে সুখবর, ৬.৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস অর্থনৈতিক সমীক্ষায়
শনিবারের বাজেট প্রস্তাব পেশের সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন আগামী অর্থবর্ষে (২০২০-২১) ১০ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা।
এই দুই পরিসংখ্যানের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। আসল ব্যাপারটি বুঝে নেওয়া যাক এবার। আর্থিক বৃদ্ধি হল রিয়াল টাইম জিডিপি। একটি অর্থবর্ষে কোনও দেশের মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদন হল ওই দেশের জিডিপি। যার মধ্যে পণ্যের উপর ধার্য সমস্ত কর ও ভরতুকিও ধরা থাকে। বর্তমান দামের বাজারমূল্য হল নমিনাল জিডিপি। একটি নির্দিষ্ট ভিত্তিবর্ষে (বেস ইয়ার) সমস্ত পণ্যের মোট মূল্য হল প্রকৃত জিডিপি।
আরও পড়ুন, ধুকতে থাকা অর্থনৈতিক আবহে আশা-নিরাশার বাজেট
আর নমিনাল জিডিপি তে, মুদ্রাস্ফীতি অথবা ঋণাত্মক মুদ্রাস্ফীতির হার হিসেবে ধরা হয় না। তাই একই বছরের নমিনাল এবং রিয়াল টাইম জিডিপি-র হার সম্পূর্ণ আলাদা হয়। শুক্রবার প্রকাশিত হওয়া আর্থিক সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে ৬৫ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির কথা। এটি প্রকৃত জিডিপি অথবা রিয়াল টাইম। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘষিত ১০ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি হল নমিলান জিডিপি। এ ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ, ভর্তুকি ইত্যাদি হিসাবের মধ্যে আনা হয়েছে।
একটি দেশে সারা বছরজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি অথবা ঋণাত্মক মুদ্রাস্ফীতি যদি না হয়, সেরকম আদর্শ পরিস্থিতিতে নমিনাল এবং রিয়াল টাইম জিডিপি অভিন্ন হতে পারে।