/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/03/yes-cover.jpeg)
ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এমডি এবং সিইও রানা কাপুর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপের মামলা চলছে। এই পরিস্থিতিতেই সূত্রের খবর বলছে দেশের প্রথম সারির ব্যাবসায়িক গোষ্ঠীর প্রায় ৪৪টি সংস্থা ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৩৪ হাজার কোটির ঋণ নিয়ে তা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে।
৪৪টি সংস্থার মধ্যে অনিল আম্বানির অন্তত ৯টি সংস্থা রয়েছে। এই সংস্থাগুলির অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। সুভাষ চন্দ্রের এসেল গোষ্ঠীর কারণে ইয়েস বাঙ্কের এনপিএ-র পরিমাণ ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
" width="640" height="360" allowfullscreen="allowfullscreen" data-mce-fragment="1">
দেওয়ান হাউজিং ফিনান্স কর্পোরেশন এবং বিলিফ রিয়েল্টর প্রাইভেট লিমিটেড গোষ্ঠী ইয়েস ব্যাঙ্কের থেকে ৪৭৩৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। শোনা যায় জেট এয়ারওয়েজকেও ১,১০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক। এ ছাড়া ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে বড় অংকের ঋণ নেওয়া সংস্থাগুলোর মধ্যে কক্স অ্যান্ড কিংস, গো ট্র্যাভেলস, ভারত ইনফ্রা, এভারেডি, বিএম খৈতান অন্যতম।
আরও পড়ুন, ইয়েস ব্যাঙ্কের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনবে এসবিআই
মূলত রিয়েল এস্টেট, পরিষেবা এবং আর্থিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকা গোষ্ঠীকেই ঋণ দিয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক।
ইয়েস ব্যাঙ্কেরর ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনতে চলেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা এসবিআই। শনিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার। চেয়ারম্যানের ঘোষণা সমস্যা জর্জরিত ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ার কিনতে এসবিআইয়ের ব্যায় হবে ২, ৪৫০ কোটি টাকা।
এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার জানিয়েছেন যে, ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ার কেনার বিষয়ে সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বিস্তারিত জানানো হবে। স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান জানিয়ে দিয়েছেন, ইয়েস ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। প্রত্যেকের আমানত সুরক্ষিত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সমস্যা হলেও কোনও গ্রাহকেরই টাকা নষ্ট হবে না।