পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই প্রাকশিত হবে মাধ্যমিকের ফলাফল। অন্যদিকে, সম্ভবত জুনে হতে পারে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা, এমনটাই ঘোষণা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সপ্তাহ দুয়েক আগেই অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষাণা করেছিলেন, ”মাধ্য়মিকের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। খাতা দেখা চলছে। ফল প্রকাশ করা হবে। উচ্চমাধ্য়মিকের বাকি তিন পরীক্ষা জুন মাসে করা হবে"।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চমাধ্যমিকের যে পরীক্ষা গুলি হয়ে গিয়েছে। সেই পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য শিক্ষকদের কাছে দিয়ে দেওয়া হবে। সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা না করা হবে না। সেই ভাবনাচিন্তাই করা হয়েছে। তিনি বলেন, সমস্তটাই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনেই করা হচ্ছে, উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা বাতিল করা হবে না।
সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, "একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের আমরা পাশ করিয়ে দিচ্ছি। কলেজে একটা করে সেমেস্টার এগিয়ে যাবে। শুধুমাত্র ফাইনাল সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে”। এরপরই, আগামী শিক্ষাবর্ষে পঠনপাঠন পরীক্ষা কীভাবে হবে তা নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্রে শুরু হয় মতবিরোধ।
আরও পড়ুন:কোভিডে আক্রান্ত নাকি সাধারণ কাশি? বলে দেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার তৈরি যন্ত্র
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশঙ্ক’(এইচআরডি) সোমবার বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বোর্ডের বাকি থাকা পরীক্ষাগুলি শুরু হবে।তিনি জানান যে, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন তিনি পূর্ববর্তী নোটিশটি উল্লেখ করে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না। ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রধান বিষয়গুলির পরীক্ষা নেওয়া হবে। বোর্ড পরীক্ষা সম্পর্কে তিনি বলেন, যে পেপারে পরীক্ষা হচ্ছে না, সেই পেপারে স্কুল পরীক্ষার নম্বর ও বছরব্যাপী পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠনে ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ রাখতে চায় মন্ত্রক
তিনি JEE Main এবং NEET প্রবেশিকা পরীক্ষার বিষয়েও কথা বলেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হবে। পূর্ববর্তী নির্ধারিত সময় অনুয়ায়ী, মে-শেষ ও জুনের মধ্যে পরীক্ষা শুরু হবে।