Assam Class 10, 12 Board exams cancelled: করোনা আবহে শুক্রবার দশম-দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করে দিল আসাম সরকার। শিক্ষামন্ত্রী রানোজ পেগু শুক্রবার জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর আগে পরীক্ষা বাতিলের জন্য সরকারের উপর একাধিক মহল থেকে চাপ সৃষ্টি হয়। তারপরেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
গত সোমবার আসামের বহ পড়ুয়া সুপ্রিম কোর্টে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মামলা দায়ের করে। বুধবার আসামের মন্ত্রিসভা অতিমারী আবহে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আমার পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি করোনা অতিমারীর কথা মাথায় রেখে।
এবার কীভাবে হবে মূল্যায়ণ, তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, দুটি কমিটি গঠন করা হবে মূল্যায়ণ পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য। একটি দশম শ্রেণির এবং আরেকটি দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার জন্য। এক সপ্তাহের মধ্যে রেকর্ডের ভিত্তিতে মূল্যায়ণ করবে দুই কমিটি। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ফলাফাল ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন কোন প্রক্রিয়ায় এবারের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ণ? ঘোষণা করল পর্ষদ-সংসদ
এর আগে বোর্ড পরীক্ষা ১১ মে নির্ধারিত করা হয়েছিল। তারপর সরকার তা স্থগিত করে দেয়। আবার ৮ জুন সরকার জানায়, আগস্টের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে দশম-দ্বাদশের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এরপরই টুইটারে পরীক্ষা বাতিলের জন্য দাবি জানাতে থাকে পড়ুয়ারা। বর্তমানে সাত লক্ষ পড়ুয়া দশম-দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষায় বসার কথা।
এদিকে, চলতি বছর করোনার জন্য পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। তাহলে পরীক্ষার মূল্যায়ণ হবে কীভাবে? শুক্রবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে তা জানিয়ে দিল মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
আরও পড়ুন কবে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের ফল? নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নবমের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ও দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হবে পরীক্ষার্থীদের মার্কর্শিট। ৫০-৫০ শতাংয়ের বিচারে হবে মার্কশিট। নম্বরে সন্তুষ্ট না হলে পরাক্ষার্থীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এক্ষেত্রে এই পরীক্ষার ফলাফলই চূড়ান্ত হিসাবে গণ্য হবে।
পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নবমের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ও দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হবে পরীক্ষার্থীদের মার্কর্শিট। ৫০-৫০ শতাংয়ের বিচারে হবে মার্কশিট। নম্বরে সন্তুষ্ট না হলে পরাক্ষার্থীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর পরীক্ষায় বসতে পারবেন। এক্ষেত্রে এই পরীক্ষার ফলাফলই চূড়ান্ত হিসাবে গণ্য হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন