প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই হোক রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত। গত সোমবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এমনটাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নিজের সহপাঠি এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্মান দেওয়া উচিত প্রত্যেক পড়ুয়ার।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, প্রেসিডেন্সির সমাবর্তন নিয়ে যে টালমাটাল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষকে তা জানতে পেরে বেশ হতবাক হয়েছিলেন তিনি নিজেই। মমতা এদিন বলেন, "যে রাজনীতি একজন মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, যে রাজনীতির সামান্য সৌজন্যবোধ নেই, আমি সেই রাজনীতিকে ঘৃণা করি। প্রেসিডেন্সির কথা জানতে পেরে আমি রীতিমতো হতবাক হয়েছিলাম। এমন কিছু ঘটতে পারে তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি।"
আরও পড়ুন: সিবিআই ডিরেক্টরের পুনর্বহাল নিয়ে বিপাকে সরকার, দ্রুত বৈঠকের আয়োজন
২০১৪ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের হাত থেকে সার্টিফিকেট নিতে অস্বীকার করেন এক ছাত্রী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সে ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এমন আচরণ একেবারেই "গ্রহণযোগ্য নয়"। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মুষ্টিমেয় কিছু পড়ুয়ার জন্যই বদনাম হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের।" শিক্ষা মানুষের মনকে আলোকিত করে, এমনটাই মত তাঁর।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "তোমারা ওদের থেকে আলাদা, তোমরা কোনও অভিজাত প্রতিষ্ঠান নও, তোমরা সাধারণ মানুষেরই অন্তর্গত।"
এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠি। তাঁর বক্তব্যে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত সম্পর্কে সচেতন হতে পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়গুলি রাজনীতির জায়গা নয়, এখানে প্রত্যেকের প্রাথমিক উদ্দেশ্য শিক্ষা। বাকি সবকিছুই গৌণ।"