উচ্চমাধ্যমিকে বিধি বদল, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় সকাল ৯টা ১৫

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই বিধি বদল করল সংসদ। সকাল ৯টার পরিবর্তে পরীক্ষার্থীদের সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি দিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একথা জানিয়েছে সংসদ। উল্লেখ্য, এর আগে সংসদের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে।

সংসদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে আগামী পরীক্ষাগুলোতে সকাল ৯টার পরিবর্তে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশাধিকারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’

সংসদের বিজ্ঞপ্তি।

আরও পড়ুন, মঙ্গলবার শুরু উচ্চমাধ্যমিক, মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল

অন্যদিকে, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও পরীক্ষার্থী ধরা পড়লে তার পরীক্ষা বাতিলের পাশাপাশি ‘অপরাধের গুরুত্ব বুঝে’ রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। সংসদের এহেন ‘চরম শাস্তি’র সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণার পরও পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার থেকে যে পরীক্ষার্থীরা বিরত থাকেনি, তার প্রমাণ মিলল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-২ কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থী ও কলকাতার শ্যামবাজারের এক পরীক্ষার্থী মোবাইল হাতে ধরা পড়ায়, তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বলে সংসদের তরফে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানিয়েছিলেন, “ক্লাসরুমে কোনও পরীক্ষার্থীর থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। পরীক্ষা তো বাতিল করা হবেই। তবে এবার আমরা এ নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরীক্ষা বাতিলের পাশাপাশি অপরাধের গুরুত্ব বুঝে পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করা হবে। অর্থাৎ ওই পরীক্ষার্থী সংসদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আর কোনওদিন বসতে পারবে না।’’

আরও পড়ুন, বৃষ্টি বাদলা মাথায় নিয়েই শুরু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা

পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ঠেকাতে আরও কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে সংসদ। মহুয়া দেবী জানিয়েছিলেন, “ভেন্যু সুপারভাইজার অর্থাৎ প্রধান শিক্ষক, সেন্টার ইন চার্জ, সেন্টার সেক্রেটারি ছাড়া আর কারও কাছে মোবাইল ফোন রাখা যাবে না। এটা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা বহাল রাখার জন্য কড়া নিরাপত্তা বলয় রাখা হয়েছে। প্রায় এক চতুর্থাংশ পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ডিটেকশন সেন্টার থাকছে।”