বায়ুদূষণ কমাতে কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মেলাল বিভিন্ন আইআইটি
কর্মসূচি অনুযায়ী ঠিক করা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাতাসের দূষণের মাত্রা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে ফেলার কথা মাথায় রেখেই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের বাতাসে দূষণের হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমাতে উদ্যোগী হলো দেশের একাধিক আইআইটি। এর ফলে নেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রাম (এনসিএপি) কর্মসূচি।
Advertisment
ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়র্ক এর আওতায় এসেছে দিল্লি, কানপুর, মাদ্রাস, বম্বে, রুড়কি, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ এবং তিরুপতি আইআইটি। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে পিজিআই চন্ডীগড়, এবং কলকাতার বোস ইন্সটিটিউট।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাতাসের গুণগত মান বাড়ানোর জন্য গবেষণার সুযোগ রয়েছে, এমন প্রতিষ্ঠান, সিভিল এবং মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়রিং, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষদের নিয়েই কাজ করছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ"।
এই উদ্দেশ্যে গত সোমবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজধানী লখনউতে এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য, ফসল, আবহাওয়া, জলবায়ু, বাস্তুতন্ত্র, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ওপর দূষণের প্রভাব পড়ছে বলেই এই নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে সরকার।
বাতাসের গুণগত মানের অবনতি হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে দূষণজনিত শারীরিক সমস্যা। কেন্দ্রের পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে এনসিএপি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। সেই কর্মসূচি অনুযায়ী ঠিক করা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাতাসের দূষণের মাত্রা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে ফেলার কথা মাথায় রেখেই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।
এনসিএপি চালু করার সময় কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছিলেন, "শিল্পজনিত দূষণ কমানোর জন্য আমরা ধোঁয়া নিঃসরণের নিয়ম অনেক কড়া করেছি। আমরা আশা রাখছি, কেন্দ্রের সঙ্গে দেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানগুলো হাতে হাত মেলালে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ফল মিলতে শুরু করবে।"
পরিবেশ সচিব সিকে মিশ্র জানিয়েছেন, এনসিএপি-র সাফল্যের জন্য বিজ্ঞানের জোর থাকা খুব দরকার।