যাদবপুরে ফের ছাত্র-সংঘর্ষ। রবিবারের অশান্তির রেশ কাটলো না সোমবারেও। ক্যাম্পাস থেকে এক ছাত্রকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে রোষ মেটালেন প্রাক্তন ছাত্র ও বহিরাগতরা বলে অভিযোগ। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, প্রায় ১৫০ জন লোক এদিন ক্যাম্পাসে ঢোকে। অভিযোগ, সোমবার অটো ধরতে যাদবপুর হস্টেলের সামনের অপেক্ষা করছিলেন দর্শন শাস্ত্র বিভাগের ছাত্র সোহম চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় শোভন রায় নামে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক প্রাক্তন ছাত্র তাঁকে মারধর করেন। রবিবার রাতের ঘটনার জেরেই এই আক্রমণ বলেই মনে করছেন সোহমের সতীর্থরা।
আরও পড়ুন: হিন্দু হস্টেলের দাবিতে শেষে আমরণ অনশনে প্রেসিডেন্সির পড়ুযারা
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, রবিবার রাতে কয়েকজন বহিরাগত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ক্যাম্পাসে ঢোকেন। তাঁদের একজনকে ক্যান্টিনের কর্মী জলের বদলে অন্য কোনও তরল খাইয়ে দেন, সেখান থেকেই শুরু হয় গণ্ডগোল। হস্টেলের ছাত্ররা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
সোমবার ফের কিছু প্রাক্তন পড়ুয়া ঢোকেন ক্যাম্পাসে, সোহম নামে ওই ছাত্রকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। সোহমকে বাঁচাতে বাংলা বিভাগের দেবরাজ দেবনাথ এবং অন্য দু’জন হস্টেলে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। দেবরাজ জানান, "এদিন হস্টেলে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের কেউই হস্টেলের আবাসিক নয়। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া না হয়েও দিনের পর দিন হস্টেলে রয়েছে।" দেবরাজ আরও বলেন, "যেহেতু রবিবার আমরা ঝামেলার সময় ছিলাম, সেই ক্ষোভ থেকেই আমাদের ওপর আক্রমন করা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, আহত ছাত্রদের অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সোমবারই প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহতদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন আক্রান্তরা। উপাচার্য জানান, ঘটনার তদন্ত করতে খুব শীঘ্রই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হবে। কারা কী কারণে মাঝরাতে ক্যাম্পাসে ঢুকেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হবে।