Advertisment

স্বশাসনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে আদালতে এনইউজেএস ছাত্র সংগঠন

২০ নভেম্বর পাস হওয়া বিলে রাজ্য সরকার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে পড়ুয়ার ৩০ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য সংরক্ষিত থাকে। গরিব এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়াদের জন্য কিছু ছাড় দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ছবি- প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে

ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিকাল সায়েন্স আইন, ১৯৯৯। এই আইনের সংশোধনে আপত্তি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন। সংগঠনের বক্তব্য, আইন সংশোধিত হলে প্রতিষ্ঠানের স্বশাসন খর্ব করতে পারে রাজ্য সরকার। ছাত্র সংগঠন এসজেএ এই নিয়ে আদালতেও গিয়েছে।

Advertisment

২০ নভেম্বর পাস হওয়া বিলে রাজ্য সরকার প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে পড়ুয়ার ৩০ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য সংরক্ষিত থাকে। গরিব এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়াদের জন্য কিছু ছাড় দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে।

ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চলছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের জাতীয় চরিত্র বিপন্ন। মেধাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার রীতিকে ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা চলছে"।

আরও পড়ুন, ১০০ কোটির কেন্দ্রীয় অনুদানের প্রথম কিস্তি পেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্র সংগঠন এসজেএ-র সভাপতি অরিন্দম নায়ক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "রাজ্য সরকারের আমলারা যদি ঠিক করে দেন তবে তা প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করা ছাড়া আর কিছু নয়। এ ভাবে রাজ্যের হাতে নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইছে সরকার। তাছাড়া ৩০ শতাংশ আসন রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষণের নিয়ম চালু করে মেধার গুরুত্ব কমাতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার"।

রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক যদিও বলেছেন,  "দেশের অধিকাংশ আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ শতাংশ আসন সেই রাজ্যের অধিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। আর অর্থনৈতিক ছাড়ের কথা ভাবা হচ্ছে পড়ুয়াদের কথা ভেবেই। অর্থের অভাবে কোনও মেধাবী ছাত্র পড়ার সুযোগ না পেলে এই নিয়ম তাকে সাহায্য করবে। রাজ্য সরকার কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে না। কারণ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নেওয়া হবে সর্বভারতীয় র‍্যাঙ্ক অনুযায়ী"।

Read the full story in English

Advertisment