গান্ধী জয়ন্তীতে বিশ্ব রেকর্ডের পথে লখনউ। ২ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের রাজধানী জুড়ে ১০ লক্ষ ছাত্রছাত্রী বই পড়বে একসঙ্গে। 'পড়ে লখনউ, বড়ে লখনউ' অভিযানের অংশ হিসেবে এই কর্মসূচির দায়িত্বে থাকছেন উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন পাটেল।
মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীর দিন সকাল ১১ টা থেকে ১১ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শহরের সব স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণি এবং তার ওপরের সমস্ত পড়ুয়া অংশ নেবে এই কর্মসূচীতে। আড়াই হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান নিজেদেরকে এই কর্মসূচীর সঙ্গে যুক্ত করেছে। ইতিমধ্যে 'ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডস'-এর তরফে পাঁচটি দল পৌঁছে গিয়েছে সেখানে।
"কর্মসূচীতে অংশ নেওয়া পড়ুয়াদের আমরা গুনে দেখেছি। সব মিলিয়ে ১০ লক্ষ ৩৪ হাজার পড়ুয়া অংশ নিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে ১১ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা যে যার নিজের ক্লাসরুম অথবা লাইব্রেরিতে বসে একসঙ্গে পাঠ করবে", জানিয়েছেন লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এনকে পাণ্ডে।
আরও পড়ুন, প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হচ্ছে না ২ অক্টোবর থেকে
তিনি আরও বলেন, "স্কুল, কলেজের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সবাই এই সমবেত পাঠে অংশ নেবেন। শহরের প্রতিটা ক্লাসরুম থেকে ২ টো ছবি এবং ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও নিয়ে আপলোড করা হবে লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে। 'ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডস'-এর তরফে যে কোনও স্কুল-কলেজে পাঠানো হতে পারে তাদের দল। আশা করছি দুপুর ২ টোর মধ্যে সমস্ত ছবি এবং ভিডিও আপলোড হয়ে যাবে"।
লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন জাতির জনকের সার্ধ শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচী, যদিও এতে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। যদি মহাত্মার ওপর লেখা কোনও বই না পাওয়া যায়, তবে তার বদলে যে কোনও বই পড়লেই হবে। পড়ুয়া নিজের সংরহে থাকা বইও পড়তে পারবে এ ক্ষেত্রে।