প্রত্যেক স্কুলে সকালের প্রার্থনায় গাইতে হবে জাতীয় সঙ্গীত। নাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কর্ণাটকের শিক্ষা দফতর। জন-গণ-মন বাধ্যতামূলক ভাবে প্রত্যেক স্কুলে সকালের প্রার্থনায় গাইতে হবে পড়ুয়াদের। বেঙ্গালুরুর বেশ কিছু স্কুলে এর অন্যথা হচ্ছিল বলে খবর আসে শিক্ষা দফতরের কাছে।
দফতরের আধিকারিকদের কথায় শিক্ষামন্ত্রী বি সি নাগেশের কাছে বেঙ্গালুরুর বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছিল। সেই স্কুলগুলিতে নাকি সকালে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হচ্ছিল না। পড়ুয়াদের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ানো হচ্ছিল না। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, কিছু স্কুলে সপ্তাহে দুদিন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছিল। বাকিগুলিতে তাও হয়নি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, পড়ুয়াদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করার জন্য সমস্ত স্কুলে সকালের প্রার্থনায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশিকায় জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন দেশ বিরোধী প্রচার, কোন বিধিতে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের?
জননির্দেশিকা বিভাগের উপঅধিকর্তার দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে খোঁজ নেবেন শিক্ষা দফতরের নির্দেশ পালন হচ্ছে কি না। নির্দেশ অমান্য হলেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি জায়গার সমস্যা হয় তাহলে পড়ুয়ারা ক্লাসরুমেও জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারে।
বেঙ্গালুরু উত্তরের ডিডিপিআই লোহিতশ্ব রেড্ডি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে প্রত্যেক স্কুলকে নোটিস জারি করা হয়েছে। যেখানে যেখানে পড়ুয়ারা জাতীয় সঙ্গীত গাইছে না তাদের সতর্ক করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এবার থেকে নির্দেশ পালন হবে।