চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করতে হবে খাদির প্রোডাক্ট! ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের তরফে জারি করা হয়েছে নতুন অ্যাডভাইজারি। দেশের গ্রাম্য এবং হাতের তৈরি জিনিস তথা খাদির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এটি নষ্ট হলে অনেক ক্ষতি, ছোট বড় সব ধরনের খাদি ব্যবসায়ীদের এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে। সঙ্গেই হাসপাতাল, নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের সহযোগিতাও কাম্য।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাতের তৈরি জিনিস তথা খাদির প্রোডাক্ট ব্যবহার করে এর বাজার এবং চাহিদা বাড়াতে হবে। গ্রামীণ পরিসরে খাদি ভিলেজ এবং ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশনের তরফে অনেক মানুষকে সাহায্য করা হয় শুধু তাই নয়, গ্রাম্যস্তরের নানা প্রতিষ্ঠানের বিকাশ এবং বেড়ে ওঠায় সাহায্য করে। আর খাদি চিকিৎসাশাস্ত্র উপলক্ষে ব্যবহার করাই যায়, এর থেকে কোনও ক্ষতি সম্ভব নয়।
মেডিক্যাল প্রফেশনাল ক্ষেত্রে খাদি উন্নতমানের বেড শিট কিংবা বালিশের কভার, অ্যাপ্রন, পর্দা, রোগীর পোশাক, সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ, ফিনাইল সবকিছুই তৈরি করে থাকে। এগুলি শুধু চামড়ার পক্ষে ভাল এমনটাই নয় বরং পরিবেশ বান্ধব। যেহেতু চিকিৎসকদের সাদা কোট সবসময় পড়তে হয় তাই তাদের খাদির পোশাক পড়াই ভাল। তাই সমগ্র হাসপাতাল, নার্সিং হোম এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিকে উপদেশ দেওয়া হচ্ছে নিজেদের সুরক্ষার খাতিরে তো বটেই সঙ্গে বেকারত্বের মাত্রা কমাতে দেশের উন্নতিতে পাশে থাকা অবশ্যই সকলের কর্তব্য। গ্রামীণ স্তরকে আরও উপরের দিকে এগিয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন - < চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, পরীক্ষা ইস্যুতে নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় CU >
তবে গতবছর দিল্লির নানা হাসপাতালে খাদি পোশাক এবং সরঞ্জামের ব্যবহার করা হয়েছে যার মুল্য ছিল কমপক্ষে ৮০ লক্ষ। সারাদেশে হাসপাতালের যা সংখ্যা আছে তাঁর তুলনায় এর ব্যাবহার যথেষ্ট কম। হঠাৎ খাদির ব্যবহার তাও আবার চিকিৎসা-ক্ষেত্রে, তাহলে কি কেন্দ্রের অনুদানে খামতি থাকছে এমন প্রশ্নও উঠছে। বেশ কিছু মানুষের বক্তব্য, খাদির দাম অনেক বেশি, সবার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। আবার কেউ বলছেন, শেষে খাদি কেন? এটাও কি কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কোনও যুক্তি নাকি চিকিৎসাতেও রাজনীতি ঢোকানোর প্রচেষ্টা। সুত্র অনুযায়ী, বেশ কিছুদিন আগেই চিকিৎসায় খাদির ব্যাবহার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছেই অনুরোধ করেন অমিত শাহ।
চিকিৎসা শাস্ত্রে বেশ কিছুদিন ধরেই আয়ুর্বেদের প্রয়োগ, এর ওষুধের ব্যবহার নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রোগীকে সুস্থ করতে গেলে শুধুই অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নয় বরং তাকে আয়ুর্বেদের সঙ্গেও জুড়তে হবে। তবে মেডিক্যাল ক্ষেত্রে এহেন হস্তক্ষেপ অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না।