দ্য ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) সম্প্রতি নবম শ্রেণির ইতিহাস বই থেকে বাদ দিল তিনটি অধ্যায়। এর মধ্যে একটি অধ্যায় ছিল ত্রাভাঙ্কোরের নদর শ্রেণির মহিলাদের সংগ্রাম নিয়ে। জোর করে দেহের ঊর্ধ্বাঙ্গ আঢাকা রাখতে হত এই মহিলাদের।
‘ভারত এবং সমসাময়িক বিশ্ব’, নবম শ্রেণির ইতিহাস বইটির নাম এটাই। পাঠক্রম থেকে এই বইয়ের প্রায় ৭০ পাতা বাদ দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের। পড়ুয়াদের ওপর থেকে বোঝা কমানোর কারণ দেখিয়ে ওই তিনটি অধ্যায় বাদ দেওয়া হল পাঠক্রম থেকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ১৮২টি বইয়ে ১৩৩৪ টি বদল আনে এনসিইআরটি।
আরও পড়ুন, গুজরাত থেকে কেরালা, নিউজিল্যান্ডের জঙ্গি হামলার ক্ষতচিহ্ন ছড়িয়ে এ দেশেও
বাদ পড়ে যাওয়া তিনটি অধ্যায়ের একটি আমরা যা পরিধান করি, তাতে সমাজের কতটা প্রভাব পড়ে, তাই নিয়ে। দ্বিতীয় অধ্যায়টি জাতি, ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের নিরিখে ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাস নিয়ে। তৃতীয় অধ্যায়টি পুঁজিবাদের জন্ম এবং ঔপনিবেশিকতাবাদ নিয়ে।
শেষ অধ্যায়টির নাম ‘ভারতের পশাক; একটি সামাজিক ইতিহাস’। ইংল্যান্ড এবং ভারতে সামাজিক আন্দোলন কী ভাবে পোশাক আশাককে প্রভাবিত করেছে, তাই নিয়ে। মহাত্মা গান্ধীর পোশাক কীভাবে স্বদেশি আন্দোলনকে প্রভাবিত করেছিল, তাও ছিল পাঠক্রমের অন্যতম উপজীব্য বিষয়। ২০১৬ সালে সিবিএসই থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হয়, এই অধ্যায় থেকে ২০১৭ তে কোনো পরীক্ষাতে কোনও প্রশ্ন রাখা চলবে না।
এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল এনসিইআরটি-র সমাজ বিজ্ঞানের পাঠক্রমের দায়িত্বে থাকা গৌরী শ্রীবাস্তবের কাছে। তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন এই প্রসঙ্গে সমগ্র পাঠক্রমের দায়িত্বে থাকা রুশিকেশ সেনাপতিকে প্রশ্ন করাই শ্রেয়। ফোনের জবাব দেননি রুশিকেশ।
কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে পড়ুয়াদের ওপর থেকে বোঝা কমাতে সব বিষয়েই পাঠক্রম কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী শুধুমাত্র সমাজবিজ্ঞানের বিষয় গুলো থেকেই পাঠক্রম কমানো হচ্ছে।