মেধাতালিকায় নম্বর থাকবে কিনা জানত না মোনালিসা পাল, কিন্তু এতটা নম্বর পাবেন আশা করতে পারেন নি নবম স্থান অধিকারী এই ছাত্রী। সেলিমাবাদ স্কুলের এই ছাত্রী পেয়েছেন ৪৮৮।
Advertisment
সকাল থেকেই টেলিভিশনের দিকে তাকিয়ে বসেছিলেন তিনি। নবম স্থানে নিজের নাম শুনতেই আতকে ওঠেন। বাড়িতে তারপর থেকেই উৎসবের রেশ। বাবা চাকরি হারিয়েছিলেন অতিমারীতে। কিন্তু মেয়ের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটতে দেন নি। তাঁকে সর্বসম্মত ভাবে সাহায্য করে গিয়েছেন পরিবারের সকলে।
পড়তেন মাত্র দুজন স্যারের কাছে। মা বাবা বেজায় খুশি। সবে বেরিয়েছে রেজাল্ট, এখনও ঠিক করে উঠতে পারেন নি কী হতে চান। পড়ুয়ার কথায়, আমার পরবর্তীতে অফিসার হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। Wbcs পরীক্ষা দেব। তারপর যা হয়। বাবা মায়ের কাছে ফোন আসছে। বেশ খুশি তাঁরাও।
উল্লেখ্য, সারাদিনে প্রায় ৭/৮ ঘণ্টা পড়তেন মোনালিসা। রাতের বেলা একেবারেই পড়তেন না। শুধু শেষ দুমাস একটু নিয়ম ভঙ্গ করেছিলেন তিনি। যখনই পড়তে বসতেন, মা বসে থাকত ক্রমাগতই। শিক্ষকদের সাহায্য না থাকলে বোধহয় এতটা উন্নতি হত না।