গত বছর এপ্রিলে দেশে জাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছিল ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন (ইউজিসি)। যার মধ্যে স্রেফ দুটি জাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বাকিদের কাছে পৌঁছেছে শো-কজ ও সতর্কতার নোটিশ, এইটুকুই। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে ইতিমধ্যেই পাশ করে বেরিয়ে এসেছে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী।
ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে মোট ২৪টি নাম। গত বৃহস্পতিবার সাংসদ অধিবেশনে মানব সম্পদ উন্নয়ন সচিব সত্য পাল সিং লিখিতভাবে বলেছেন, "ইউজিসি জাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে শো-কজ /সতর্কতার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্সগুলি চালানো এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দেওয়ার অপরাধে ইউজিসি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন: ২৫ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি পেলেন কলকাতার এই প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা
দিল্লীর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এবং পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার বায়ো-কেমিক এডুকেশেন গ্রান্ট কমিশন, এই দুই ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
ইউজিসি তাদের ওয়েবসাইটে জাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যার ফলে অপরাধীদের সহজে চেনা যাবে এবং ক্ষতিকর পরিস্থিতিতে পৌঁছানোর আগেই সতর্ক হওয়া যাবে বলে মনে করছে ইউজিসি। এদিকে, হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার মত ক্ষমাহীন অপরাধ করা সত্ত্বেও ইউজিসি অ্যাক্ট অনুযায়ী, কমিশন কেবলমাত্র ১,০০০ টাকা জরিমানা করেছে।
শাস্তির মাত্রা বাড়ানোর এবং আইনের সংশোধনের জন্য ইউজিসি মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু আপাতত তার কোনো প্রতিক্রিয়া নজরে আসছে না। রমরমিয়ে ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় খুলে ব্যবসা চালাচ্ছিল সংস্থাগুলি। এদের মধ্যে আটটি বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর প্রদেশের। এদিকে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস অবধি যেসব ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয় দিল্লিতে বহাল তবিয়তে চলছে, তাদের সংখ্যা সাত।