বছর দুয়েক আগে বদলে ফেলা হয় সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষার অবয়ব। যার ফলে দিল্লির বহু স্কুলে কমতে শুরু করেছে পাসের হার। সরকারি স্কুলগুলোতে পাসের হার কমে যাওয়ায়, কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে পরীক্ষার পরিকাঠামোর পুনর্নির্মাণকে। ২০১৬-১৭ সাল থেকে ২০১৭-১৮ সালের শিক্ষাবর্ষে দশম শ্রেণীর পাসের হার এক ধাক্কায় ৯২.৪৪ শতাংশ থেকে কমে ৬৮.০৯ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। অর্থাৎ প্রায় ২৫ শতাংশ কমেছে বার্ষিক পাসের হার।
এ বিষয়ে রহস্য উদঘাটনে মিলেছে রাজনীতির গন্ধ। উঠে এসেছে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ। প্রায় ৪০ শতাংশ আম আদমি পার্টির বিধায়ক ২০১৭ থেকে ১৮ সালের মাঝের সময়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করেন নি, এমনটাই দাবি।
গত শুক্রবার সিবিএসসি বোর্ড একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, "সিবিএসসি বোর্ড পরীক্ষার পরিকাঠামো বদলের পরে নজর কেড়েছে রাজ্যের সরকারি স্কুলে পাসের হার।"
আরও পড়ুন: ভোটের জন্য পিছোতে পারে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ
সমীক্ষার নেপথ্যে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রজা ফাউনডেশন, যারা সাধারণত শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে থাকে। সেখানেই উল্লেখ আছে, "এমসিডিতে (দিল্লি পুরসভা অঞ্চলে) ৪৯ জন কাউন্সিলর ২০১৭-১৮ সালের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কোনো সমস্যার কথা তুলে ধরেন নি। এসময় মাত্র ১১ জন কাউন্সিলর ১০ টিরও বেশি সমস্যার কথা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।"
একইসঙ্গে ২০১৩-১৪ তে দিল্লির পুরসভা স্কুলে ছাত্রছাত্রীর তালিকাভুক্তর হার ৮.৬৯ লক্ষ থেকে ৭.২৪ লাখে (২০১৭-১৮ সালে) নেমেছে (প্রায় ১৭ শতাংশ)।
আরও পড়ুন: JEE Main 2019: লোকসভা ভোটের জন্য পরিবর্তিত হল জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার দিন
পুরসভার স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির তালিকায় দেখা গেছে, ২০১০-১১ সাল থেকে আঠারো সাল পর্যন্ত প্রায় ৪৩ শতাংশ কমেছে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। যদি বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকে, তবে সময়ের ধারাবাহিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে ছাত্রছাত্রীর ভর্তির তালিকা গিয়ে ঠেকবে ৩৭,৯৩৮ জনে। বর্তমান পরিস্থিতে এই সংখ্যা ৯৫,৮১৭ জন।
Read the full story in English