শিক্ষাখাতে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হল দ্বিতীয় মোদী সরকারের বাজেটে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে শিক্ষাখাতে অর্থের পরিমাণ ছিল ৯৪,৮৫৩ কোটি, ২০২০-২১-এর বাজেটে আগামী অর্থবর্ষের জন্য তা বাড়িয়ে ৯৯,৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল সরকার। ২০১৮ সালে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বাজেটের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষাখাতের বরাদ্দ। ৯৯,৩০০ কোটি টাকা ছাড়াও স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য ৩,০০০ কোটি টাকারও অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এমনকি আগামীতে 'নয়া শিক্ষানীতি'ও আনতে চলেছে মোদী সরকার।
আরও পড়ুন: আয়করে সুখবর শোনাল মোদী সরকার
দক্ষতায় আরও উন্নত করতে এবং কর্মসংস্থান দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ তাঁর বাজেট বক্তৃতায় বলেন, "সারাদেশে সরকারের স্থানীয় সংস্থাগুলি এক বছর অবধি নতুন ইঞ্জিনিয়ারদের ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেবে"। এছাড়াও আরও, ১১১টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ২০২১ সালের মার্চ থেকে শিক্ষানবিশ পদ চালু করবে, এমনটাই বলা হয়েছে বাজেটে। এমনকী, দেশের গরিব ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে অনলাইনে স্নাতক স্তরের কোর্সও চালু করা হবে। যেখান থেকে অনলাইন ডিগ্রি পাওয়া সম্ভব হবে। নির্মলা সীতারামণ এদিন বলেন, "ন্যাশনাল পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্য পূর্ণাঙ্গ অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়ারও পরিকল্পনার সিদ্ধান্তের কথা বাজেটে জানান নির্মলা সীতারামণ।
আরও পড়ুন: ধুকতে থাকা অর্থনৈতিক আবহে আশা-নিরাশার বাজেট
এদিকে, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে স্বয়ামের (SWAYAM)-এর মাধ্যমে পাঠদান এবং শংসাপত্রের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রি সরবরাহ শুরু করার কথাও ঘোষণা করেন সীতারামণ। তবে এক্ষেত্রে অনলাইন ডিগ্রি কীভাবে দেওয়া হবে সে বিষয়ে এখনও বিশদে কিছু জানা যায়নি। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন যে সরকার বিশ্বব্যাপী শিক্ষামন্ত্রকের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করছে এবং ভারতে উচ্চ শিক্ষার মান্নোনয়নের জন্য শীঘ্রই একটি "নতুন শিক্ষানীতি" (এনইপি) প্রকাশ করবে। এর মধ্যেই প্রায় ২ লক্ষ প্রস্তাব এসেছে নয়া শিক্ষানীতির বিষয়ে, সে কথাও এদিন বাজেটে জানান মন্ত্রী। এছাড়াও চিকিৎসা কর্মীদের ঘাটতি মোকাবিলা করতে সরকার পিপিপি মডেলে মেডিকেল কলেজগুলিকে জেলা হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত করারও প্রস্তাব দিয়েছে।