পচা মাংস কান্ডের পর এবার মোমের প্রলেপের আপেল কান্ডে সরব হল বিধাননগর মিউনিসিপালিটি কর্পোরেশন এবং কলতকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন। যে আপেল গুলো দেখতে চকচকে সেই আপেলে ক্যামিকেলের পালিশ আছে কিনা এবং শহরের কোথায় কোথায় চলছে রমরমিয়ে এই আপেলের ব্যবসা তা ক্ষতিয়ে দেখতে উদ্যোগ নিল কর্পোরেশন।
সাম্প্রতিক দমদম এলাকায় এক দোকানে চকচকে আপেল দেখে সন্দেহ হওয়ায় খবর দেওয়া হয় দমদম পৌরসভার কতৃপক্ষকে। ঘটনাস্থলে এসে তারা দেখে রমরমিয়ে ঝকঝকে আলোয় যে আপেল বিক্রি হচ্ছে তাতে প্রলেপ দেওয়া আছে পেট্রোপন প্যারাফিনের। জুতো বা গাড়ি পালিশ করতে ব্যবহার করা হয় এই ক্যামিকেল। গত শুক্রবার বিধাননগর মিউলিসিপালিটি থেকে বৈশাখী বাজারে বিক্রেতাদের ওপর তল্লাশি অভিজান চালানো হয়।
আরও পড়ুন :ভাগাড় কাণ্ডের শেষ এখনও দেখে নি কলকাতা, দাবি মন্ত্রীর
বিধাননগর পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রনয় রায় জানান এদিন ওই বাজার থেকে আপেলের ওপর মোমের কোটের নমুনা সংগ্রহ করেছেন তারা। যাদের থেকে এই আপেল পাওয়া গেছে তাদের ওপর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে যে কলকাতা শহরের বহু জায়গায় এখনও বিক্রি হচ্ছে এই পালিশ করা আপেল। পুলিশ সুত্রে খবর স্থানীয় বাজার গুলোতে অধিকাংশ ফল মেছুয়া বাজার থেকে নিয়ে আসা হয়। মেছুয়া বাজারে পাইকারি দামে বিক্রি করা হয় যাবতীয় ফল।
সাম্প্রতিক আপেল কান্ড নিয়ে কলকাতা পৌর সভার খাদ্য নিরাপত্তার কর্মকর্তা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। স্বাস্থ্য বিভাগের অতীন ঘোষ জানায় উত্তর ২৪ পরগনার পাইকপারা সহ সিঁথিরমোর থেকে মিলেছে পেট্রোপন প্যারাফিনে পালিশ করা চকচকে আপেল। বর্তমানে এর শিকড় খুঁজে বার করতে জোর কদমে উদ্যোগ নিয়েছে পৌরসভা সহ কলকাতা পুলিশ।জেনারেল ফিজিশিয়ান অরিন্দম দাসগুপ্ত জানিয়েছেন মুলত এই ধরেনের জিনিস পেটে গেলে আমাদের শরীরের পাচনতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া আলসার এবং অন্যান্য সংক্রমণের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।