সোমবার উত্তর কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের হাতে প্রহৃত হল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের দাবি, কনভেনশনের জন্য সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনে তাঁরা লিফলেট বিলি করছিলেন। তখনই তাঁদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছেলেরা। তবে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া দেবর্ষি চক্রবর্তী বলেন, ''৩১ অগাস্ট উচ্চশিক্ষাব্যবস্থার অরাজকতার বিরুদ্ধে কিছু দাবিতে একটি কনভেনশন রয়েছে। তারই প্রচারের জন্য রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ, সেন্ট পলস কলেজ হয়ে আমরা যাই সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনে। মাইকে প্রচার হচ্ছিল, হঠাৎই কলেজের মধ্যে থেকে কয়েকজন বেরিয়ে এসে বলে, এখানে এসব চলবে না। তারা নিজেদের টিএমসিপির সদস্য বলেই পরিচয় দেয়। বাদানুবাদের পর জনা পঞ্চাশেক লোক হাজির হয় যাদের বেশিরভাগই ছাত্র নয়, এবং আমাদের মারতে শুরু করে। আমাদের কিছু সদস্যকে তো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়েছে।"
আরও পড়ুন: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের পরেই কি সরানো হবে জয়া দত্তকে?
প্রেসিডেন্সির এক ছাত্রের কথায়, ''আমরা কনভেশনের জন্য প্রচার করছিলাম। আর এই আক্রমনটা করা হয় আমাদের কাজ ব্যাহত করার জন্যই। খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে থাকে, এমনকি আমাদের মহিলা সদস্যদের তাড়া করে।"
প্রসঙ্গত, শিক্ষার অধিকার রক্ষা নিয়েই এই কনভেনশন। সরকারের কাছে ছাত্রদের দাবি, উচ্চশিক্ষার নামে যে অরাজকতা চলছে সেটা বন্ধ করে হবে। তাদের আরও দাবি, সংরক্ষণের অধিকার ক্ষুণ্ণ না করা, HECI/HEFA-র মাধ্যমে স্বাধিকার হনন না করা। তবে এদিনের ঘটনার পর মুচিপাড়া পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের উচ্চপদস্থ এক অফিসার জানিয়েছেন, ''আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি।"
আরও পড়ুন, তৃতীয় লিঙ্গ সম্পর্কে সচেতনতায় ‘জেন্ডার মেলা’, সৌজন্যে প্রেসিডেন্সি
এই অভিযোগ অস্বীকার করে টিএমসিপি নেতা বলেন, "ফাউন্ডেশন ডের অনুষ্ঠানের আগে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।" তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মেয়ো রোডের গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিলে অংশ নেবেন। আর অন্যদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে এইদিনই অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় জমায়েত করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।