পশ্চিম মেদিনীপুরের জলচক নাটেশ্বরী স্কুলে উৎসবের আমেজ। স্কুলের নাম উজ্জ্বল করেছেন শিক্ষার্থীরা। একের পর এক অসামান্য রেজাল্ট, শিক্ষকদের উচ্ছ্বাস দেখার মতো। উৎফুল্লতা, আনন্দ, স্কুলের জয়ধ্বনি দিচ্ছেন সকলে।
মেধাতালিকা প্রকাশের পরেই স্কুল জুড়ে যেন উৎসব। পড়ুয়াদের প্রশংসা করতে গিয়েই চোখে জল শিক্ষকদের। স্কুলের প্রতি পড়ুয়াদের ভালবাসা এবং দায়বদ্ধতা যে কতখানি আজই যেন প্রমাণিত। একঝাঁক কৃতী এই স্কুল থেকেই উঠে এসেছে। শিক্ষক বলছেন, “আমার কোনও বলার ভাষা নেই। আজকে শুধুই আনন্দের দিন। ছাত্রছাত্রী, এলাকাবাসী, শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলকে শুভেচ্ছা। ওরা যেভাবে স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে আমরা সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। ওদের উন্নতি হোক, বড় হোক”।
আরও পড়ুন [ উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম অদিশা, কৃতীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানলে কুর্নিশ না জানিয়ে পারবেন না ]
আপাতত বেশ কিছু কৃতীর নাম উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মাধ্যমেই জানতে পেরেছেন। শিক্ষকরা যথেষ্ট খুশি, হিপ হিপ হুররে স্লোগান দিয়েই স্কুলের সাফল্য উদযাপন করছেন তাঁরা। এই সাফল্য সকলের প্রাপ্য। একসঙ্গে জড়ো হয়েছেন শিক্ষকরা। তাঁদের উদ্দেশ্যেও অসংখ্য শুভেচ্ছা বার্তা। শিক্ষকরা বলছেন, “স্কুলের সকলকে অভিনন্দন। এই আনন্দ ধরে রাখার মতো নয়। জলচক আরও উন্নতি করুক”।
এবছর পাশের হারে পশ্চিম এবং পূর্ব মেদিনীপুর এর সাফল্য ব্যাপক। বিশেষ করে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার জলচক নাটেশ্বরী বিদ্যায়তনের সাফল্যে এলাকায় জয়জয়কার। গোটা স্কুলজুড়ে শরৎচন্দ্রের উপন্যাস থেকে ছোট গল্পের নাম। রবি ঠাকুরের উপন্যাসও বাদ যায়নি তাতে।