বুধবার কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে সভা করে ফেরার সময় বিজেপির রাজ্য সভাপতির গাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে কমপক্ষে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গাড়ি ভাঙচুর এবং বোমাবাজির অভিযোগে এখনও উত্তপ্ত শীতলকুচি। নির্বাচনের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
বুধবার শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির মাঠে সভা ছিল রাজ্য বিজেপির সভাপতির। সেই দলীয় প্রচার সেরে ফেরার পথে দিলীপ ঘোষের ওপর হামলা হয়। এই ঘটনার পর দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমার ওপর এই ধরনের হামলা অনেকবার হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনীবিধি চালু হওয়ার পর এই প্রথম এই ধরনের হামলা হল। দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ঝাণ্ডা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এ যেন তালিবানি শাসন চলছে।'
রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, "আমার সভা শেষ হওয়ার পর যখন আমরা ফিরছি তখন মাথাভাঙায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে অনেক তৃণমূল সমর্থক ফিরছিল। সেই সময় তৃণমূল সমর্থকদের তরফে স্লোগান দেওয়া হয়। পাল্টা স্লোগান দেয় আমাদের কর্মীরা। আমি সবাইকে বলি শান্ত থাকতে। পুলিশের কাছে বারবার বলি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।"
বিজেপি সূত্রের খবর, এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের রাজ্য দফতর মুরলিধর সেন লেন থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের হবে। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের নেতৃত্বে সেই মিছিল আয়োজিত করা হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন