মধ্যরাত পর্যন্ত টানটান লড়াইয়ের পর বিহার নির্বাচনে এনডিএ-র কাছে হেরেছে মহাজোট। ম্যাজিক ফিগার থেকে ১২ আসন কম ১১০টিতে গিয়ে থেমেছে মহাজোটের দৌড়। অন্যদিকে, এনডিএ ১২৫টি আসন পেয়ে কোনওরকমে ম্যাজিক ফিগার পেয়ে জিতেছে এনডিএ। কিন্তু হাল ছাড়তে রাজি নন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। ফলাফল ঘোষণার একদিন পর সাংবাদিক বৈঠক ডেকে গণনা নিয়ে মুখ খুললেন লালুপুত্র। বৃহস্পতিবার তিনি পোস্টাল ব্যালটের পুনর্গণনার দাবি জানালেন। গণনা পদ্ধতি নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলে তেজস্বীর দাবি, জনমত মহাজোটের পক্ষে ছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ফলাফল হল এনডিএ-র পক্ষে।
এদিন তেজস্বী বলেছেন, আমি বিহারবাসীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জনমত মহাজোটের পক্ষে ছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ফল হল এনডিএ-র পক্ষে। এটা প্রথমবার হয়নি। ২০১৫ সালেও হয়েছিল যখন মহাজোট ক্ষমতায় আসে। ভোট আমাদের পক্ষে পড়লেও বিজেপি পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। আমি এনডিএ বিশেষ করে বিজেপিকে বলতে চাই, জনাদেশ আমাদের পক্ষে ছিল। যদি নীতীশ কুমারের মধ্যে এতটকুও নৈতিকতা থাকে তাহলে এই জনমত মেনে নিয়ে চেয়ারের লোভ ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান। আমি তো ধন্যবাদ যাত্রা বের করব। কারণ আমি জানি, জিতেছি আমরাই। আমরাই প্রকৃত সমস্যা নিয়ে মানুষের কাছে গিয়েছি। তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। কিন্তু অর্থ-ক্ষমতা-অনৈতিকতা দিয়ে ভোট ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডি।
আরও পড়ুন জেডিইউ-কে ধরাশায়ী করতে চেয়েছিলাম, সফল হয়েছি: চিরাগ
তেজস্বী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই ফলাফলের বিরুদ্ধে জন আন্দোলন গড়ে তুলব। আমরা হেরে যাওয়ার কান্না কাঁদব না। বরং লড়াই জারি থাকবে। আমরা এত সহজে ছাড়ব না। বিজেপি ধন-বল-ছলের মাধ্যমে ফল নিজেদের পক্ষে করেছে। কিন্তু মানুষের সমর্থন আমরা পেয়েছি। এদিকে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ১২টি আসন দূরে থাকলেও এআইএমআইএম (৫ জন বিধায়ক) এবং এনডিএ জোটের শরিক জিতন রাম মাঝির হাম পার্টি (৪ জন বিধায়ক) ও মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (৪ জন বিধায়ক) কে মহাজোটে ঢোকানোর পথ আরজেডি খোলা রেখেছে বলে জানা গিয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন