লোকসভা ভোটে বিরোধীদের মহাজোটের সামনে এবার জোর টক্কর মোদী বাহিনীর। উনিশের ভোটের লড়াইয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছে গেরুয়াবাহিনী। ভোটবাক্সে ফায়দা লুটতে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোট করাতে চায় গেরুয়াবাহিনী। উনিশের ভোটযুদ্ধে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড- এই তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকেও শামিল করতে ইচ্ছুক বিজেপি নেতৃত্ব। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এমন ইচ্ছের কথা ইতিমধ্যেই তিন রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
যদিও একসঙ্গে ভোট করার ব্যাপারে খুব একটা উৎসাহ দেখাননি মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতৃত্ব। নির্ধারিত সময়েই ওই দুই রাজ্যের সরকারের মেয়াদ শেষ করার কথা বলেছেন দলীয় নেতারা। তবে শীর্ষ নেতৃত্বের এই প্রস্তাবে মাথা নেড়েছেন হরিয়ানার কয়েকজন বিজেপি নেতা। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই বিধানসভা ভোট হলে সেটা তাঁদের জন্য ‘অ্যাডভান্টেজ’ হবে বলেই মত তাঁদের।
আরও পড়ুন, আমরাই দাদা ছিলাম, আছি, থাকব: বিজেপি-র সঙ্গে জোট নিয়ে শিবসেনা
উল্লেখ্য, চলতি বছরের অক্টোবরে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ডিসেম্বরে। তবে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট নিয়ে এমনিতেই চলছে নানা টানাপোড়েন। এর মধ্যেই সে রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করার পক্ষে সওয়াল করেছে শিবসেনা। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এ ব্যাপারে একমত হননি। এক দলীয় নেতা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে হলে জোট করে একসঙ্গে লড়তে তাঁরা রাজি, এ বার্তা দিয়েছে শিবসেনা।’’ উল্লেখ্য, সে রাজ্যে গত লোকসভা ভোটে ৪৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি-শিবসেনা জোট জয়ী হয়েছিল ৪১টি আসনে। ২২৮টি আসনের বিধানসভায় গতবারের ভোটে বিজেপি পেয়েছিল ১২২টি আসন। সেনার ঝুলিতে রয়েছে ৬৩টি আসন।
অন্যদিকে, সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, হরিয়ানায় মোদীর নেতৃত্বে যদি বিজেপি ভাল ফল করে, তবে অ্যাডভান্টেজ পাবেন মনোহরলাল খট্টর। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফল আশানুরূপ না হলে মাথা হেঁট হবে গেরুয়াশিবিরের। পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও বাড়তি জোর দিচ্ছে পদ্মশিবির। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২২টিতে জেতার টার্গেট নিয়েছেন অমিত শাহরা।
Read the full story in English