তিন ঘন্টার লুকোচুরি। রুদ্ধশ্বাস খোঁজাখুঁজি। শেষে স্বস্তি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটের। তারাপীঠ মন্দিরে খোঁজ মিলল অনুব্রত মণ্ডলের। ফের কমিশনের নজরবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি।
কমিশনের নজরবন্দি অবস্থাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর চোখে ‘ধুলো’ দিয়ে এদিন বেলা ১২টা নাগাদ গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান অনুব্রত মণ্ডল। সেই গাড়ির পিছনে ছিল ম্যাজিস্ট্রেট ও বাহিনীর গাড়ি। কিন্তু মাঝ পথেই বাহিনী অনুব্রতবাবুর গাড়ির নাগাল হারায়। এরপরই তৃণমূলের এই দোর্দদণ্ডপ্রতাপ নেতাকে হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করেন ম্যাজিস্ট্রেট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরা। কিন্তু ঘন্টাখানের পেরিয়ে গেলেও অনুব্রত মণ্ডলের খোঁজ মেলেনি। সূর্যের প্রখন তাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তখন বাড়তে থাকে বাহিনী ও কমিশনের অস্বস্তি।
আরও পড়ুন: বাহিনীর চোখে ‘ফাঁকি’ দিয়ে ‘বেপাত্তা’ নজরবন্দি অনুব্রত, হন্যে হয়ে খুঁজছেন ম্যাজিস্ট্রেট
তার মধ্যেই অনুব্রতকে খুঁজতে জান লড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। শেষ পর্যন্ত প্রায় তিন ঘন্টাখার চেষ্টা শেষে নাগাল মেলে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির। জানাতে পারা যায় তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন অনুব্রতবাবু। এরপরই তারাপীঠে পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশনের নির্দেশে সেখানেই তাঁকে ফের নজরবন্দি করে বাহিনী।
কমিশন সূত্রে খবর, অনুব্রত নজরদারি এড়িয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই কমিশন ফের নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নোটিসে উল্লেখ, নজরদারি মানতেই হবে অনুব্রতকে। নজরদারি এড়িয়ে তিনি বাইরে যেতে পারবেন না।
কেন এই হয়রানি? কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে বলা হয়, অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি মাঝপথে অতি দ্রুত চলতে থাকায় তাঁর নাগাল মেলেনি। তবে এই ঘটনা ঘিরে এদিন কয়েক ঘন্টা টানটান রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস পাঠিয়ে ‘নজরবন্দি’ করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের তাঁকে নোটিস পাঠাতে হল নির্বাচন কমিশনকে। বুধবার প্রায় ঘণ্টা তিনেক ‘নিখোঁজ’ থাকার পরে অনুব্রতর খোঁজ মিলতেই এই নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। জেলাশাসককে এই নোটিস দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন