কংগ্রেস অভিযোগ জানিয়েছিল নির্বাচনী কাজে নীতি আয়োগের অপব্যবহার করছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন নীতি আয়োগের মতামত জানতে চেয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে খবর, নীতি আয়োগ সিইও অমিতাভ কান্তকে সেই মর্মে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে কতদিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে, তার কোনও উল্লেখ নেই।
সূত্রের খবর নির্বাচনী প্যানেল অবিলম্বে নীতি আয়োগের কাছে জবাব চেয়েছে।
গত সপ্তাহে কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানায় প্রধানমন্ত্রীর যে সমস্ত জায়গায় নির্বাচনী প্রচার থাকে, সেখানকার হাল হকিকত আগে থেকে জনে নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। এবং তা করছে নীতি আয়োগকে ব্যবহার করেই।
স্ক্রল ডট ইন-এ প্রকাশিত হওয়া এক প্রতিবেদন বলছে নীতি আয়োগের তরফে মহারাষ্ট্রের একাধিক কলেক্টরের কাছ থেকে গন্ডিয়া, লাটুর এবং ওয়ার্ধা জেলার বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়। ওই সমস্ত অঞ্চলে তার দিন কয়েকের মধ্যেই ছিল মোদীর জনসভা। একই ধরনের তথ্য কেন্দ্র রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদের কাছ থেকেও চাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন, যৌন হেনস্থায় প্রধান বিচারপতিকে ক্লিন চিট, সুপ্রিম কোর্টের বাইরে বিক্ষোভ, ধৃত ৫০ জনেরও বেশি
বিরোধী দলের বক্তব্য, নির্বাচনী সভার কাজে সরকারি সূত্রকে ব্যবহার করা নির্বাচন বিধি বহির্ভূত। আদর্শ নির্বাচন বিধি অনুযায়ী মন্ত্রীরা সরকারি কাজে কোনও অঞ্চল পরিদর্শনের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারকে গুলিয়ে ফেলতে পারবেন না, মনে করিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।
তবে এ বছরই প্রথম নির্বাচন বিধি ভাঙার জন্য নীতি আয়োগের ওপর নজরদারি করছেনা কমিশন। মার্চে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের সময় ন্যূনতম আয়ের ঘোষণার সময় রাহুল গান্ধীকে সমালোচনা করার জন্য নীতি আয়োগের ভাইজ চেয়ারম্যান রাজীব কুমারের কাছে জবাব চেয়েছিল কমিশন।
কংগ্রেসের ন্যূনতম আয়ের প্রকল্প নিয়ে রাজীব কুমার বলেছিলেন, "ভোটে জেতার জন্য যে কোনও দল যা খুশি বলতে পারে"। তবে তাঁর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজীব কুমার কমিশনকে জানিয়েছিল, নীতি আয়োগের সদস্য হিসেবে নন, তিনি এই মন্তব্য করেছেন একজন অর্থনীতিবিদ হওয়ার দরুন।
Read the full story in English