উনিশের ভোটের লড়াইয়ে কংগ্রেস থেকে কারা কারা লড়বেন? তা এ মাসের শেষেই চূড়ান্ত করবেন রাহুল গান্ধীরা। চলতি মাসের শেষেই প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল। অন্যদিকে, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের লোকসভা ভোটের প্রচার কর্মসূচি শুরু করা হতে পারে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
উনিশের ভোটযুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও মহিলাদেরই এবার বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। বিশেষত, পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে এবার গুরুত্ব দিতে চায় কংগ্রেস। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, ভোটের ময়দানে নতুন মুখদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রথম উত্তর প্রদেশ সফরে সঙ্গী হবেন রাহুল
অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের আগে প্রিয়াঙ্কার সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান কংগ্রেসকে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে। আগামী সপ্তাহেই লখনউ পাড়ি দিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মঙ্গলবার দাদা রাহুলের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক বৈঠক করেন প্রিয়াঙ্কা। সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। উত্তর প্রদেশে দলের পরিকল্পনা ঠিক করতেই এই বৈঠক করা হয়।
চলতি মাসের ১১ তারিখ রাহুল-প্রিয়াঙ্কা একসঙ্গে লখনউতে রোড শো করবেন বলে জানা গিয়েছে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে থাকবেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। লখনউতে তিনদিন প্রচার কর্মসূচি রয়েছে প্রিয়াঙ্কা ও সিন্ধিয়ার। উল্লেখ্য, পূর্ব উত্তর প্রদেশের সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। পূর্ব উত্তর প্রদেশে যে ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা, তার মধ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দুর্গ বারাণসী ও যোগী আদিত্যনাথের গোরক্ষপুর।
আরও পড়ুন, কেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপরে পূর্ব উত্তর প্রদেশের ভার?
এদিকে, লোকসভা ভোটের আগে ঝাড়খণ্ডে মহাজোট গড়ছে কংগ্রেস। জেএমএম, বাবুলাল মরান্ডির ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা ও আরএলডির সঙ্গে জোটের পথে রাহুল গান্ধীরা। জেএমএমের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে বোঝাপড়া সেরেছেন স্বয়ং রাহুল। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭টিতে লড়তে পারে কংগ্রেস। অন্যদিকে, ৪টি আসনে লড়তে পারে জেএমএম। ২টি করে আসনে লড়তে পারে জেভিএম ও আরএলডি।
আরও পড়ুন, মোদীকে ‘ডরপোক’ বললেন রাহুল, দ্বৈরথের চ্যালেঞ্জ প্রধানমন্ত্রীকে
এ প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেসের আর পি এন সিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "লোকসভা ভোটে বেশি সংখ্যক আসনে কংগ্রেস লড়বে। বিধানসভা ভোটে বেশি সংখ্যক আসনে লড়বে জেএমএম। এ সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বে লোকসভা ভোটের প্রচার করা হবে। বিধানসভা ভোটের প্রচার করা হবে হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে।"
অন্যদিকে, সংসদে নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সংসদে এ বিল আনা হলে, তা কিছুতেই পাশ করতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। রাজ্যসভায় এই বিল আনা হলে, অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বিরোধিতার পথে হাঁটবে কংগ্রেস, এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
Read the full story in English