শনিবার সকাল থেকেই ভোটের দামামা বেজেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে রাহুল গান্ধী, মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধী প্রত্যেকেই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এদিন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোটদানের পর সংবাদসংস্থা এএনআইকে বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি বলেন, "আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলছে দিল্লিতে সরকার গড়বে বিজেপিই।" যদিও মুখ্যমন্ত্রীপদে দাবিদার কে হতে পারেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি পদ্ম শিবিরের এই নেতা।
সিএএ, শাহিনবাগ, জামিয়া, জেএনইউ আবহেই আজ শুরু হয়েছে দিল্লির কুর্সি দখলের লড়াই। দিল্লি নির্বাচনের প্রাক্কালেই একাধিক ইস্যু নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অন্যান্য দলগুলি। ২০১৫ সালের মতো এবারের দিল্লি নির্বাচনেও কি উঠবে ঝাড়ু-ঝড়? ইতিমধ্যেই আপ, বিজেপি ও কংগ্রেসের ত্রিমুখী ভোটযুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। দিল্লি বিধানসভায় মোট ৭০ আসনের লড়াই। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। দিল্লির কুর্সি দখলের লড়াইয়ে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা অবধি ভোটের হার প্রায় ৫৭ শতাংশ। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মোট ভোটদানের হার ছিল ৬৭.৪৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: “মোদী প্রধানমন্ত্রীসুলভ আচরণ করেন না”, মন্তব্য ‘টিউবলাইট’ খোঁচায় বিদ্ধ রাহুলের
শনিবার দিল্লির মসনদ দখলের লড়াই জারি রেখে রেকর্ড সংখ্যক ভোট দিতে দিল্লির যুব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিজেপি, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)। ৭০টি আসনের মধ্যে তাঁরা জিতেছিল ৬৭টি আসনে। সেখানে মোদী-শাহের বিজেপি জেতে ৩টি আসনে। তবে, গত বছর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭টি লোকসভা আসনের সবগুলিতেই জয় লাভ করে পদ্ম শিবির।
কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতার কুর্সি লাভের স্বপ্ন সফল হয়নি গেরুয়া শিবিরের। এ মুহুর্তে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে জ্বলতে থাকা দিল্লি কি জয় করতে পারবেন মোদী-শাহ?
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন