Lok Sabha Election 2019: মোদীর ক্লিন চিট নিয়ে কমিশনের সদস্যদের মধ্যেই ছিল মতের অমিল

নির্বাচন কমিশন আইন, ১৯৯১-এর ১০ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়েই কমিশনের প্রত্যেক সদস্যকে সহমত হতে হবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অন্য দুই কমিশনারের যদি মতের অমিল হয় তবে সঙ্খ্যা গরিষ্ঠতার বিচারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

নির্বাচন কমিশন আইন, ১৯৯১-এর ১০ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়েই কমিশনের প্রত্যেক সদস্যকে সহমত হতে হবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অন্য দুই কমিশনারের যদি মতের অমিল হয় তবে সঙ্খ্যা গরিষ্ঠতার বিচারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Election Commission

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা (ফাইল ফোটো- অমিত মেহরা)

সংখ্যালঘু সঙ্খ্যাগুরু নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া ১ এপ্রিলের ভাষণ কিমবা দেশের প্রথম ভোটারদের প্রভাবিত করতে লাটুরের ভাষণে বালাকোটের এয়ারস্ট্রাইকের উল্লেখ করা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে ক্লিন চিট পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে মোদীকে ক্লিন চিট দেওয়ার ব্যাপারে কমিশনের সব সদস্য সহমত ছিলেন না।

Advertisment

সূত্রের খবর প্রতি ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশনের ৩ সদস্যের মধ্যে একজন কমিশনের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছিলেন।

সম্প্রতি রাজস্থানের বারমেরের এক জনসভায় মোদীর বিরুদ্ধে আদর্শ নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। এ খেত্রে অবশ্য কমিশনের তিন সদস্যই সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয়। বারমেরের সভায় পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে মোদী বার্তা দিয়েছিলেন, "ভারতের পারমানবিক শক্তি শুধু দীপাবলির রাতের জন্য তুলে রাখা হয় না"।

আরও পড়ুন, কিছুটা শক্তিক্ষয় করে বাংলায় আসছে ‘ফণী’

Advertisment

নির্বাচন কমিশনের তিন সদস্য হলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা, নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা এবং সুশীল চন্দ্র। নির্বাচন কমিশন আইন, ১৯৯১-এর ১০ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়েই কমিশনের প্রত্যেক সদস্যকে সহমত হতে হবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অন্য দুই কমিশনারের যদি মতের অমিল হয় তবে সঙ্খ্যা গরিষ্ঠতার বিচারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে গত ১ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের যে অভিযোগ ছিল, তা থেকেও নিষ্কৃতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ওয়েনাড় থেকে রাহুল গান্ধীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মোদী বলেছিলেন, “কংগ্রেস এখন সংখ্যালঘুরা যেখানে সংখ্যাগুরু, তেমন জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে।”

কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সাংভি। তিনি বলেন কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনে মোদী-অমিত শাহের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ করেছেন, কিন্তু তার মধ্যে মাত্র দুটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রঞ্জন গগৈ, দীপক গুপ্তা ও সঞ্জীব খান্নাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলে আবেদনকারীদের বাকি সওয়াল শোনার দিন ৬ মে। তার আগে নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে।

Read the full story in English

General Election 2019 election commission narendra modi General election constituency list