গণনা পদ্ধতি নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার লালু-পুত্র তেজস্বীর দাবি ছিল পোস্টাল ব্যালটের পুনর্গণনার। নির্বাচন কমিশনের গণনা পদ্ধতির দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলে আরজেডি নেতা। যদিও সমস্ত পোস্টাল ও ব্যালট ভোট গণনা যথাযথভাবে এবং নিয়ম মেনেই হয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এমনটাই জানিয়েছেন বিহারের নির্বাচন কমিশন প্রধান।
বিহারের হিলশার একটি আসনে পুনর্গণনা করা হয়। আরজেডির অত্রি মুনি সেই আসনটিতে জেডি (ইউ) এর কাছে ১২ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, এই আসনের জন্য প্রাপ্ত মোট ৫৫১টি পোস্টাল ভোটের মধ্যে ১৮২টি ভোটকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। নিহারের নির্বাচন কমিশন প্রধান এইচ আর শ্রীনিবাস জানান, "পিছিয়ে পড়া প্রার্থী (মুনি) ইভিএম ভোটের পাশাপাশি ডাক ব্যালটের পুনর্গণনা চেয়েছিলেন। রিটার্নিং অফিসার প্রথমে দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন যেহেতু ইভিএম ফলাফলের সময় তার গণনা এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন এবং প্রক্রিয়াটিতে সন্তুষ্ট বলে মনে হয়েছিল। প্রার্থীকে সন্তুষ্ট করতে, পরে মোট ৫৫১ টি ভোটের পুন:নিরীক্ষণের অনুমতি দিয়েছে। ফলটি অপরিবর্তিত রয়েছে।"
আরও পড়ুন, চিরাগ পাসওয়ানের দল জোটে থাকবে কি না তা বিজেপি ঠিক করবে, সাফ জানালেন নীতিশ
বৃহস্পতিবার তেজস্বী প্রসাদ জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন অনেক ডাক ব্যালটকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল? তিনি দাবি করে যে এটি বিনা বাছাই ছাড়াই করা হয়েছে। বিশেষত এমন আসনে যেখানে মহাগঠবন্ধনের প্রার্থীরা খুব সংকীর্ণ ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন। গণনা পদ্ধতি নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলে তেজস্বীর দাবি, জনমত মহাজোটের পক্ষে ছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ফলাফল হল এনডিএ-র পক্ষে।
তেজস্বী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই ফলাফলের বিরুদ্ধে জন আন্দোলন গড়ে তুলব। আমরা হেরে যাওয়ার কান্না কাঁদব না। বরং লড়াই জারি থাকবে। আমরা এত সহজে ছাড়ব না। বিজেপি ধন-বল-ছলের মাধ্যমে ফল নিজেদের পক্ষে করেছে। কিন্তু মানুষের সমর্থন আমরা পেয়েছি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন