General Election 2019: মোদীর বায়োপিকের মুক্তি কি পিছোবে? নাকি শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে শুক্রবারই বক্স অফিসে মুক্তি পাবে প্রধানমন্ত্রীর বায়োপিক? এর উত্তর জানা যাবে এ সপ্তাহেই, এমনটাই বলা হচ্ছে কমিশন সূত্রে। তবে ভোটের মুখে মোদীর বায়োপিকের মুক্তি সম্ভবত স্থগিত রাখার পথে হাঁটতে চাইবে না নির্বাচন কমিশন, বরং সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন বা সিবিএফসি-র কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, শুক্রবারই মুক্তি পাওয়ার কথা এ ছবির। লোকসভা নির্বাচনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর বায়োপিকের মুক্তি "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" এবং তা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ জানিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
এ প্রসঙ্গে ছবির প্রযোজকদের আইনজীবী হিতেশ জৈন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বুধবার বলেছেন, মোদীর বায়োপিকের সার্টিফিকেশনের কাজ চলছে। অন্যদিকে, মুম্বইয়ে সিবিএফসি-র আঞ্চলিক আধিকারিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা যায়নি। বহু ফোন, মেসেজ ও ই-মেল পাঠালেও তিনি জবাব দেন নি।
প্রসঙ্গত, ছবি মুক্তি পিছোনো নিয়ে কংগ্রেসের আর্জি খতিয়ে দেখতে গিয়ে গত ২৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের ওই পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবি প্রদর্শনে যেভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, তাতে বাকস্বাধীনতার উপর আঘাত হানা হয়েছে। উল্লেখ্য, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পরও বাংলায় ওই ছবির প্রদর্শনে বাধা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, নমো টিভি: তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের জবাব চাইল নির্বাচন কমিশন
কোনও ছবিকে মুক্তির ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশন যে হস্তক্ষেপ করতে চায় না, তা গত ২৫ মার্চ সিবিএফসিকে পাঠানো কমিশনের একটি চিঠিতেই স্পষ্ট হয়ে যায়। ওই চিঠিতে সেন্সর বোর্ডকে বলা হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার পর কোনও রাজনৈতিক বিষয়বস্তু নিয়ে ছবি কীভাবে মুক্তি পাবে, তা সিনেম্যাটোগ্রাফি আইন মেনেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেন্সর বোর্ডকে। প্রসঙ্গত, ভোটের মুখে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর কোনও ছবির মুক্তির ছাড়পত্র কীভাবে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কমিশনের কাছে জানতে চেয়ে গত ১৫ মার্চ চিঠি দিয়েছিল সিবিএফসির মুম্বই শাখা।
ভোটের মুখে মোদীর বায়োপিক মুক্তি পেলে তা ভোটারদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এ অভিযোগ তুলেই মোদীর এই ছবির মুক্তি নিয়ে আপত্তি তোলে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি। যতদিন না লোকসভা ভোট শেষ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এ ছবি যাতে মুক্তি না পায়, সে আর্জি জানিয়েছে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের মুখে এ ছবির মুক্তি "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" বলেও অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। গত ২৫ মার্চ কংগ্রেসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছবির চারজন প্রযোজকের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠায় কমিশন। এ ছবির সঙ্গে বিজেপির যোগের কথা অস্বীকার করে গত ২৮ মার্চ কমিশনকে এ নিয়ে জবাব দেন প্রযোজকরা। নিজেদের টাকাতেই ছবিটি বানিয়েছেন বলে দাবি করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক নেই, জানালেন মোদীর বায়োপিকের প্রযোজকেরা
ছবির উপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা মানেই বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে বলে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা ভূপিন্দর যাদব। তিনি বলেছেন, "একটা বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই, ফলে এটা নির্বাচনী বিধি ভাঙেনি।"
অন্যদিকে, নমো টিভি নিয়েও সরব হয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেস ও আপের অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে জবাব তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। নমো টিভি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশনকে জবাব দেওয়ার জন্য ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় চেয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা, ভাষণ দেখানোর জন্য ভোটের মুখে নতুন টিভি চ্যানেল চালু করে বিজেপি। যদিও বিতর্কের পর গত সপ্তাহেই নমো টিভির নয়া নামকরণ করা হয়েছে, তার বর্তমান নাম ‘কনটেন্ট টিভি’। টাটা স্কাই, ডিশ টিভি, এয়ারটেল, সিটি নেটওয়ার্ক-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডিটিএইচ অপারটেররা এই চ্যানেল দেখাতেও শুরু করেছে।
Read the full story in English