পশ্চিমবঙ্গে অব্যাহত রইল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আদেশে প্রশাসনিক রদবদল। ১৯ মে সপ্তম দফার ভোটের আগে সরলেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিঠুন কুমার দে। একইসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হলো আমহার্স্ট স্ট্রীট থানার অফিসার-ইন-চার্জ কৌশিক দাসকেও। কমিশনের নির্দেশ, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজে এই দুই আধিকারিককে ব্যবহার করা যাবে না।
Election Commission of India: Mithun Kumar Dey, SDPO Diamond Harbour (West Bengal) & Kaushik Das, Office In-Charge Amherst Street (West Bengal) stands relieved with immediate effect. Both the officers shall not be given any election related posts. pic.twitter.com/lOdaUlmc3R
— ANI (@ANI) May 16, 2019
এ রাজ্যে রদবদলের পালা শুরু হয় ফেব্রুয়ারি মাসে মনোনীত পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে দিয়ে, যাঁর জায়গায় কমিশনারের চেয়ারে বসেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল ডাঃ রাজেশ সিং। প্রায় একইসঙ্গে সরানো হয় বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিং এবং ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগানকেও। বিধাননগরের কমিশনারের দায়িত্বে আসেন এন রমেশ বাবু, এবং ডায়মন্ড হারবারের নতুন এসপি হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন শ্রীহরি পাণ্ডে।
উল্লেখ্য, ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে হিংসার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিরোধী প্রার্থীদের। এই কেন্দ্রেই তিনবার আক্রান্ত হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী ডাঃ ফুয়াদ হালিম, অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের দিকেই।
আরও পড়ুন: ফের অপসারিত রাজীব কুমার, সরলেন অত্রি ভট্টাচার্যও
অন্যদিকে, আমহার্স্ট স্ট্রীট থানার অন্তর্গত বিধান সরণির ওপরে বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর রোড শোয়ের শেষ পর্বে বাঁধে ধুন্ধুমার। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ফলে আগুন ধরানো হয় তিনটি মোটরবাইকে, ভাংচুর হয় বিদ্যাসাগর কলেজের ভেতরেও, যে সময় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি।
প্রসঙ্গত, ভোট কিনতে খাস কলকাতায় হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার করছে বিজেপি, গত সপ্তাহে হাড়োয়ায় এক জনসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিজেপির টাকা পাচারের জন্যই কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে বদল করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। হাড়োয়ার সভায় মমতা বলেন, কলকাতায় হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার করলে যাতে ধরা না পড়ে, সে কারণেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার বদল করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে টাকার বাক্স নিয়ে এলে যাতে নজর এড়ানো যায়, সে কারণে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকেও বদল করা হয়েছে।