Advertisment

এমন নির্বাচন কমিশন জীবনে দেখি নি, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মমতা

মমতা বলেন, বিজেপির আদেশানুসারে চলছে নির্বাচন কমিশন। তিনি আরও বলেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বাংলায় দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় নি কমিশন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বুধবার রাতে তাঁর কালীঘাটের বাড়িতে তড়িঘড়ি ডাকা এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা এবং রাজ্যের দুই প্রশাসনিক আধিকারিকের অপসারণ  সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যাবেলাই বাংলায় "বাড়তে থাকা হিংসা" নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যে বৃহস্পতিবার রাত্রি দশটার পর থেকে নির্বাচনী প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। এই প্রেক্ষিতে মমতা বলেন, বিজেপির আদেশানুসারে চলছে নির্বাচন কমিশন। তিনি আরও বলেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বাংলায় দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় নি কমিশন। "অমিত শাহকে কেন শো কজ করল না কমিশন?" প্রশ্ন মমতার।

Advertisment

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, যে সব ভোটদান কেন্দ্রে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেসবই কেন্দ্রের উস্কানির ফলে। তিনি আরও বলেন, যে ধরনের হিংসা এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেখা গেছে, তা "বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরবর্তী হিংসার চেয়েও বেশি"।

Election commission west Bengal নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের প্রথম পাতা।

নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের ভূমিকা নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। "এরকম নির্বাচন কমিশন আমি জীবনে দেখি নি, আরএসএস সদস্যে ভর্তি। নির্বাচন কমিশন নয়, স্বরাষ্ট্র সচিবকে সরানো হলো নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের নির্দেশে। এটা নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। আজ অমিত শাহ প্রেস কনফারেন্স করে নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দেওয়াতেই কী এই পদক্ষেপ? বাংলা ভয় পায় না। আমি মোদীর বিরুদ্ধে বলি বলেই বাংলাকে টার্গেট করা হয়েছে।"

মঙ্গলবারের তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষকে "পূর্ব পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত" হিসেবে বর্ণনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, "আরও আগে কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো না? তার কারণ মোদীকে সময় দেওয়া হলো নির্বাচনী সভা শেষ করার।" উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতায় দুটি নির্বাচনী সভা করার কথা নরেন্দ্র মোদীর। সেই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে "অন্যায়, অনৈতিক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" আখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisment