বয়সের কারণে এবার টিকিট পাননি ৮৪ বছরের শিবপুরের বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ি। নেতৃত্বের এই পদক্ষেপে 'অপমানিত' বোধ করেছেন তিনি। তাই সম্মানের আশায় জোড়া-ফুল ছেড়ে আপাতত বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ যোগ দিচ্ছে বিজেপিতে। আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী মোদীর ব্রিগেডে রয়েছে। সেই সভাতেই জটু লাহিড়ি গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেবেন।
শিবপুরের এবার তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। তাঁকে টিকিট না দেওয়ার বিষয়টিকে 'প্রহসন' বলে কটাক্ষ করেছেন জটু লাহিড়ি। তিনি বলেছেন, 'সরকার নীতি-নৈতিকতাহীন হারিয়েছে। এরা যত তাড়াতাড়ি যাবে ততই মঙ্গল। বাংলার উন্নয়ের জন্য আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি।'
আরও পড়ুন- বাদ ৬৪ বিধায়ক, তৃণমূলের ‘বিক্ষুব্ধ’দের ভিড় বাড়ছে মুকুলের দরবারে
যদিও নতুন দলের সামনে একটিই শর্ত রেখেছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'আমি দলের স্বার্থে যেকোনও কাজ করতে পারি। টিকিট না দিলেও কোনও হতাশা থাকবে না। কিন্তু, বলেছি আমাকে যোগ্য সম্মান দিতে হবে। না হলেই বিপদ। সব সহ্য করব, কিন্তু অপমান নয়।'
শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই দলে বিদ্রোহের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে 'বহিরাগত' প্রার্থীদের মানতে নারাজ তৃণমূল কর্মীরা। দলের হয়ে কাজ না করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে টিকিট না পাওয়া বিদায়ী তৃণমূল বিধায়কদেরও ক্ষোভ চরমে। নলহাটির বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক মইনউদ্দিন শামস টিকিট না পেয়ে গতকালই জানান তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন। তৃণমূল ছাড়ার পথে পুরশুড়ার বিধায়ক মহম্মদ নূরউজ্জামান। তৃণমূল ছাড়ার পথে পুরশুড়ার বিধায়ক মহম্মদ নূরউজ্জামান। সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দারও। এঁরা দু'জনেই মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজেপিতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন বলে সূত্রের খবর। এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। তালিকায় রয়েছেন মমতার একদা ছায়াসঙ্গী সোনালি গুহও। এবার সাতগাছিয়া থেকে টিকিট না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সোনালি। অভিমানী হয়ে তোপ দাগেন নেত্রীর বিরুদ্ধে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন