General Election 2019: ভোটের মুখে পুলিশ বদলি নিয়ে যখন তেতে রয়েছে বঙ্গ রাজনীতি, সেই উত্তপ্ত আবহেই ফের পুলিশ বদলির হুমকি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ‘‘কথা না শুনলে, বিজেপির সঙ্গে গোলমাল করলে, গ্যারাজ করে দেব’’, এ ভাষাতেই এবার পুলিশকে হুঙ্কার দিলেন দিলীপ। পাশাপাশি, ‘তৃণমূলের মস্তান’দের ভোটার তালিকা থেকে নাম বদলে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ?
মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘‘মেদিনীপুরে এসপি থেকে, সব পুলিশ অফিসারদের নজরে রেখেছি। বিজেপির সঙ্গে গোলমাল করলে, কমিশনকে বলে তাঁকে গ্যারাজ করে দেব। কালো তালিকাভুক্ত করে দেব।’’ দলের কর্মীদের উদ্দেশে দিলীপ এদিন আরও বলেন, ‘‘ওসি-আইসিরা কথা না শুনলে বা বাধা দিলে নাম বলুন। তৃণমূলের মস্তানদের নাম বলুন, তাঁর ভোটার তালিকায় নাম বদলে দেব। দেখি কী করে ভোট করায়! তাঁকে জেলের ভাত খাওয়াব।’’
আরও পড়ুন: “প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে আরএসএস-এর মদতে ভোটে লড়ছেন”
অন্যদিকে, অফিসার বদলির প্রতিবাদে বুধবারই কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘‘পুলিশ কমিশনারের জায়গায় যাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে, তিনি একজন বিজেপি নেতার সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার করে আনা হল। কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রীর সভা থেকে তৃণমূল বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা বললেন, পুলিশ সুপারের উর্দি খুলে নেওয়া হবে। সেই পুলিশ সুপারকে বদলি করে দিল নির্বাচন কমিশন। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই কাজ করছে কমিশন।’’
চোপড়ার সভায় মমতা বুধবার বলেন, ‘‘অফিসারদের বদলি করে ভোট হয়! অফিসার বদলে কিছু হবে না। অফিসাররা ভোট দেন না, মানুষ ভোট দেন। সব অফিসাররা আমাদের সরকারের।’’
আরও পড়ুন: ভোটের আগেই ভোটে হারলেন অর্জুন সিং
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারের পদ থেকে অভিষেক গুপ্তাকে সরানো হয়েছে। এর আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরানো হয় অনুজ শর্মাকে। নতুন কমিশনার করা হয়েছে রাজেশ কুমারকে। ‘‘বিজেপির ইশারাতেই কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে’’ বলে সুর চড়িয়ে কমিশনকে চিঠি দেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তৃণমূলনেত্রীর অভিযোগ খারিজ করে তাঁর এমন মন্তব্য 'দুর্ভাগ্যজনক' উল্লেখ করে পাল্টা চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন।